পঞ্চায়েত অফিসে পালন হচ্ছে ঠিকাদারের জন্মদিন, এমনই অভিযোগ ঘিরে জোর চর্চা পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে। অন্ডাল ব্লকের উখড়া গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে সোমবার ওই ঠিকাদারের জন্মদিন পালন করা হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই জন্মদিন পালন হয় প্রধান, উপপ্রধানের উপস্থিতিতে। যদিও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক-শিবির। প্রধান, উপপ্রধানদের দাবি, যাঁর জন্মদিন পালন হয়েছে, তিনি তৃণমূল কর্মীও, পঞ্চায়েতের কাজও করেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিসে পরিষেবা চাইতে গিয়ে, সাধারণ মানুষ বসার জায়গা পান না। অথচ তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান-সহ সদস্যরা মিলে কেক কেটে, ঠিকাদারের মাথায় টুপি পরিয়ে জন্মদিন পালন করছেন। এই ছবি কখনও ভালো বার্তা দেয় না।
পঞ্চায়েত প্রধান মিনা কোলের বক্তব্য, ‘গৌতম সরকার আমাদের দলেরই কর্মী। পঞ্চায়েতেও কাজ করেন। উনি সকলকে মিষ্টি খাওয়াতে এসেছিলেন। তখন ছেলেরা পাল্টা ওঁর জন্য কেক নিয়ে আসে। এটা পঞ্চায়েতে জন্মদিন পালনের কোনও বিষয়ই নয়। একজনের জন্মদিনে কেক এনে খাওয়ালে তাতেও বিতর্ক হতে পারে, কী করে বুঝব। গৌতমকে আমরা কেউ ঠিকাদার হিসেবে দেখি না। তার পরও যদি বিতর্ক হয়, আমরা ভবিষ্যতে খেয়াল রাখব।’
উপপ্রধানেরও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, এই ঘটনায় তিনি কোনও ভুল দেখছেন না। এ সব সস্তার রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই না, বলে দাবি তাঁর। বিজেপি নেতা শ্রীদীপ চক্রবর্তীর পাল্টা বক্তব্য, ‘এটা সরকারি অফিস, জন্মদিন পালনের জায়গা নাকি?’ এই নিয়ে জোর তরজা চলছে উখড়ায়। কিছুদিন আগে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের একটি পুলিশ স্টেশনে তৃণমূলের এক নেতার জন্মদিন পালন ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এ বার নয়া বিতর্ক পঞ্চায়েত অফিসে। অন্ডালের বিডিও দেবাঞ্জন দত্ত বলেন, ‘কোনও অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’