• কোতুলপুরে জুতোর গোডাউনে আগুন, দমকল আসতে দেরি
    বর্তমান | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: মঙ্গলবার দুপুরে কোতুলপুরের নেতাজিমোড় এলাকায় জুতোর গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিষ্ণুপুর ও আরামবাগ থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আসে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কীভাবে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখছেন দমকলের আধিকারিকরা। দূরত্বের কারণে দমকলবাহিনী আসতে দেরি হওয়ায় এদিনও কোতুলপুরে দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা। বিষ্ণুপুর দমকলের আধিকারিক অশেষ কুমার বলেন, কোতুলপুরে জুতোর গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনায় খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হয়। এতটা দূরত্ব যেতে কিছুটা সময় লেগেছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোতুলপুরের নেতাজি মোড়ে সনৎ বিট নামে এক ব্যক্তির জুতোর দোকান এবং পাশেই একটি গোডাউন রয়েছে। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ কর্মচারীরা দোকান ও গোডাউন বন্ধ করে খেতে চলে যান। হঠাৎই গোডাউনের ভেন্টিলেটর দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ধোঁয়া বেরতে দেখেন। খবর চাউর হতেই প্রচুর লোকজন চলে আসেন। পরে মালিকপক্ষ ও কর্মচারীরাও আসেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গেট খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার দাপটে কেউ ভিতরে ঢোকার সাহস পাননি। জানালা ও ভেন্টিলেটর দিয়ে দাউদাউ করে আগুনের শিখা বেরতে থাকে। চারপাশ কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। আশপাশে প্রচুর বসতবাড়ি থাকায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রথমে বিষ্ণুপুর থেকে একটি দমকলের ইঞ্জিন আসে। তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরামবাগ থেকে আরও একটি ইঞ্জিন আসে। কয়েক ঘণ্টা পর রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কিছুদিন আগেই কোতুলপুরের বামুনাইরি মোড় এলাকায় আগুনে একটি খড়বোঝাই লরি ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকলের গাড়ি দেরিতে আসায় পুলিসের উপর উত্তেজিত জনতার রোষ আছড়ে পড়ে। তখনও এলাকায় দমকলকেন্দ্র তৈরির দাবি উঠেছিল। এদিন জুতোর গোডাউনে আগুন লাগার পর স্থানীয় বাসিন্দারা একই দাবিতে সরব হন।  


    স্থানীয় বাসিন্দা অজয় দাস বলেন, গোডাউনে প্রচুর জুতো মজুত ছিল। এছাড়াও প্রচুর কাগজের পেটি ছিল। তাতেই আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে গোডাউনের সমস্ত মালপত্র ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হারাধন দে বলেন, কোতুলপুর এলাকায় কোনও দমকল না থাকায় প্রতিবার এলাকায় আগুন লাগলে দমকল আসার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাই আমরা কোতুলপুরে একটি দমকল কেন্দ্রের দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)