৩ মাস মজুরি অমিল, দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে পিএইচই’র চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের
বর্তমান | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: টানা তিন মাস ধরে মজুরি মিলছে না। মজুরি না মেলায় উত্তরবঙ্গের আট জেলার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের সাত হাজার পাম্প, ভাল্ব অপারেটর, নৈশপ্রহরী ও গাড়িচালক বিপাকে পড়েছেন। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলায় রয়েছে প্রায় এক হাজার পাম্প, ভাল্ব অপারেটর, ড্রাইভার ও নাইটগার্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ার জেলা সফরে রয়েছেন। তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁরা সোচ্চার হন মঙ্গলবার। এভাবে টানা মজুরি না মিললে রাজ্য সরকারের স্বপ্নের জল জীবন মিশন প্রকল্প মুখথুবড়ে পড়বে বলে মনে করছেন পিএইচই’র এই কর্মীরা।
পিএইচই’র এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করা হয় এজেন্সির মাধ্যমে। এঁরা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মজুরি পান। তাঁদের দৈনিক মজুরি ৪৬৫ টাকা। একবছর আগে পিএইচই’র এই কর্মীদের পিএফও চালু হয়েছে। তিন মাস মজুরি না মেলায় পিএইচই’র এই কর্মীরা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মজুরি এখনও না মেলায় নতুন বছরের প্রথম মাসের মজুরিও সময় মতো মিলবে কি না তা নিয়েও উৎকণ্ঠায় ভুগছেন এই কর্মীরা।
ইউটিইউসি অনুমোদিত উত্তরবঙ্গ পিএইচই মেকানিক্যাল ওয়ার্কাস ইউনয়নের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত গুপ্ত বলেন, আমরা তিন মাস ধরে মজুরি পাচ্ছি না। নতুন বছরের প্রথম মাস শেষে এই মাসের মজুরিও মিলবে কি না তা নিয়েও অনিশ্চিতয়তা দিন কাটছে আমাদের। দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি বার বার জানানোর পরেও কোনও কাজ হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসেছেন। আমরা চাইছি তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থান নিন।
মজুরি না মেলায় জেলার পিএইচই’র পাম্প, ভাল্ব, নৈশপ্রহরী ও গাড়ির চালকরা বলেন, জল জীবন মিশন রাজ্য সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প। কিন্তু আমরা মজুরি না পেলে কাজ করব কীকরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পাম্প অপারেটর বলেন, এভাবে চলতে পারে না। মাসের পর মাস মজুরি না মিললে বাধ্য হয়ে আমাদের জল সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মজুরি না মেলার বিষয়টি জানি। খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।