বিজেপির রাজ্য সভাপতি: ঘুরে দাঁড়াতে কি ফের আস্থা দিলীপেই
বর্তমান | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজ্যে দলের সংগঠন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। সাংগঠনিক বেহাল দশা এতই প্রকট যে, ‘টার্গেট’ মেনে সদস্য সংগ্রহ পর্যন্ত করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। এই ব্যাপারে নিত্যদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধমক খেতে হচ্ছে রাজ্য নেতাদের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় একধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। এমনকী মাসকয়েক আগেই বাংলার ছ’টি বিধানসভা উপনির্বাচনেও গো-হারা হতে হয়েছে রাজ্য বিজেপিকে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দু’টো বিষয়। এক, মাত্রই বছর দেড়েকের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন। সংগঠনের এই বেহাল দশা থাকলে ২০২১ সালের তুলনায় ফল আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। দুই, রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন। কিন্তু দলের নতুন রাজ্য সভাপতি যিনিই হবেন, বিধানসভা নির্বাচনে ব্যর্থতা কিংবা সাফল্যের দায়ভার তাঁর উপরই চাপবে। ফলে বিষয়টি অনেকটাই বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার মতো! এই পরিস্থিতিতে বাংলায় সাংগঠনিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে ফের কি ভরসা রাখা হচ্ছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপরই? এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই প্রবল চর্চা শুরু হয়েছে।
দলের শীর্ষ সূত্রের খবর, আগামী মাসের গোড়াতেই রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। তবে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বেহাল দশা খতিয়ে দেখে আনকোরা নতুন মুখকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে ভরসা পাচ্ছে না দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বরং গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আবহে একেবারে অভিজ্ঞ মুখেই সিলমোহর দিতে চাইছে তারা। এহেন প্রেক্ষিতেই ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছে দিলীপ ঘোষের নাম। তিন অঙ্কে পৌঁছনো না গেলেও ২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে এই দিলীপবাবুর সভাপতিত্বেই বঙ্গ বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে হয়েছিল ৭৭ জন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ফের কি শিকে ছিঁড়তে চলেছে রাজ্য বিজেপির এই প্রাক্তন সাংসদের?
এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই ইস্যুতে যোগাযোগ করা হলে ‘বর্তমান’কে দিলীপবাবু বলেন, আমি এইরকম কিছু শুনিনি। অনেকের একাধিক মত থাকতেই পারে। শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটি দেখার। আপনার কাছে প্রস্তাব এলে আপনি কি তা গ্রহণ করবেন? দিলীপবাবুর জবাব, আমার ইনিংস তো শেষ। নতুন কেউ দায়িত্ব নিলেই ভালো। - ফাইল চিত্র