• বাটা কারখানায় ইউনিয়নের ভোট চেয়ে সাংসদ ও বিধায়ককে চিঠি শ্রমিকদের
    বর্তমান | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ: মহেশতলার বাটা কারখানায় শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। দু’বছর অন্তর নির্বাচন হয় শ্রমিক সংগঠনে। সেই হিসেবে গত ১৮ জানুয়ারি তৃণমূল অনুমোদিত বাটা মজদুর ইউনিয়নের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সংগঠনের অধিকাংশ শ্রমিক চাইছেন, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের আয়োজন করুক ইউনিয়নের পদাধিকারীরা। কারণ, বাটা কারখানার পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাঁদের দাবি, শ্রমিক-কর্মচারীদের কথা একেবারেই ভাবা হচ্ছে না। পাশাপাশি বাটা কারখানায় উৎপাদন কমিয়ে অধিকাংশ কাজই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা হচ্ছে। যা কার্যত শ্রমিকদের চাকরির ক্ষেত্রকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে যে তৎপরতা দরকার, তা ইউনিয়নের বর্তমান নেতৃত্ব দেখাতে পারছেন না।


    বাটা মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ দাস, যিনি মহেশতলা পুরসভার কাউন্সিলারও বটে। তিনি এই যুক্তির সঙ্গে একমত নন। কয়েকদিন আগে বাটা কোম্পানির গেট মিটিংয়ে পীযূষবাবু ঘোষণা করেছিলেন, এই কমিটি যে সময় দায়িত্ব নিয়েছিল, সেখান থেকে দু’বছর বাদে নির্বাচন করা হবে। সেই হিসেবে আগামী মে মাসের আগে কোনওভাবেই ভোট হবে না। তাঁর এই জেদি মনোভাবের কারণে ব্যাপক অসন্তোষ শুরু হয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই প্রায় এক হাজার শ্রমিকের মধ্যে সাতশো জনেরও বেশি গণস্বাক্ষর করে বাটা মজদুর ইউনিয়নের দ্রুত ভোট চেয়েছেন। সেই চিঠি তাঁরা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক দুলাল দাস, পীযূষ দাস, রাজ্য শ্রমদপ্তর থেকে শুরু করে রাজ্য আইএনটিটিইউসির সভাপতি, মহেশতলার এসডিপিও এবং আইসিকে চিঠি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, বাটা কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। কারখানার রাবার সেকশনে সেভাবে কাজ আসছে না। ফলে কর্মচারীরা কাজ হারানোর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। নতুন করে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না। বাটা কারখানাকে অত্যাধুনিক করে তোলার জন্য ইতিপূর্বেই মজদুর ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সেই অনুসারে কোনও কাজ হয়নি। তাই দ্রুত ভোট জরুরি। এ ব্যাপারে শ্রম দপ্তরের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কর্মচারীরা। বাটা মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মে মাসের আগে ভোট করা যাবে না। এ নিয়ে তিনি কোনও চিঠি পাননি বলে দাবি করেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)