ফের কলকাতায় হেলে পড়ল বহুতল বাড়ি। বাঘাযতীনের পর এ বার ট্যাংরায় বুধবার সকালে একটি নির্মীয়মাণ চার তলা ফ্ল্যাট বাড়ি হেলে পড়ে। ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১/২ ক্রিস্টোফার রোডের এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। হেলে পড়া বহুতলের ছবিও তোলা হয়েছে তাদের মোবাইল ক্যামেরায়।
এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই বহুতলটি বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছিল বলে অভিযোগ একাংশের। তবে ঠিক কী কারণে আচমকা বহুতল বাড়ি হেলে পড়েছে তা এখনও জানা যায়নি। বাড়িটিতে কয়েক জন বাসিন্দাও রয়েছেন বলে খবর। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। যদিও জানা গিয়েছে, তিন দিন আগেই এই বিষয়টি নজরে এসেছিল স্থানীয়দের। মঙ্গলবার পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা এলাকায় গিয়ে বহুতলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
স্থানীয় কাউন্সিলার সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর নজরে আসা মাত্রই পুরসভাকে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘বাড়িটি একদিকে সামান্য হেলে গিয়েছে। কী করা যায় সেটা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা খতিয়ে দেখছেন।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি বাঘাযতীনে একটি বহুতল হেলে পড়ে। ধসে যায় ফ্ল্যাট বাড়িটির একাংশ। হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে ওই বাড়িটি উঁচু করা হচ্ছিল বলে জানা যায়। সেই সময় তা হেলে পড়়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। তার মধ্যেই বুধবার সকালে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মহানগরে।
এর মাঝে মঙ্গলবার কামারহাটির সাত নম্বর ওয়ার্ডের ধুবিয়াবাগান এলাকায় আচমকাই তিন তলা বিল্ডিং হেলে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছয় থেকে সাত মাস ধরে এই বিল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। স্থানীয় প্রোমোটার বিল্ডিংটি নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিল্ডিংয়ের পাশে একটি স্কুল রয়েছে। এমনকী, নতুন কোনও বিল্ডিং তৈরিতে যে নিয়ম মানতে হয়, তাও মানা হয়নি বলে দাবি এলাকাবাসীদের একাংশের।