• মান্ধাতার আমলের জিপ ঢুকলেই টের পান গ্রামবাসীরা
    এই সময় | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
  • কৌশিক দে, মালদা

    মান্ধাতার আমলের পুলিশের জিপ গ্রামের রাস্তায় ঢুকলেই টের পান গ্রামবাসীরা। কখনও বিকট আওয়াজ, আবার কখনও কালো ধোঁয়ায় তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেক সময়ে মাঝপথে গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। তখন ঠিক না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে হয় চালককে। জেলা পুলিশের সূত্রের খবর, মালদায় পুলিশের যে চার চাকার গাড়িগুলি চলে, সেগুলির ট্যাক্স, ধোঁয়া চেক, ইন্সুরেন্সের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র বছরে একবার করে ফিটনেস সার্টিফিকেট করাতে পারলেই হলো। কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়ি কেউ যদি বাণিজ্যিক ভাবে থানায় ভাড়া দেন, তাখন সবকিছু পরীক্ষা করে নেওয়া হয়।

    জেলা পরিবহন দপ্তরের এক কর্তা জানান, ব্যক্তিগত গাড়ি থানায় ভাড়া দিলে পারমিট, ট্যাক্স, ইন্সুরেন্স সবকিছুই লাগে। কিন্তু সরকারি গাড়ির ক্ষেত্রে কোনও কিছুর প্রয়োজন হয় না। শুধু বছরে একবার ৬৪০ টাকা দিয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট করতে হয়।

    মালদা জেলায় ১৫টি থানা রয়েছে। অনেক থানাতেই মান্ধাতা আমলের জিপ আজও বহাল রয়েছে। অনেক গাড়ির চাকার গ্রিপ ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে গাড়ির গতি বাড়াতে গেলেই সমস্যায় পড়তে হয়। তার উপর গাড়ি স্টার্ট করলেই বিকট আওয়াজ। কালো ধোঁয়ায় ভরিয়ে দেয়। শীতের সময় তো পুরনো আমলের গাড়ির ব্যাটারি বসে যায়। চালু হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। কখনও কখনও ঠেলা মেরে গাড়িগুলি স্টার্ট করতে হয়। যদিও মালদার আরটিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রতিবছর সরকারি গাড়ির ফিটনেস চেক করা হয়। তখনই সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে দেখা হয়।’

  • Link to this news (এই সময়)