গান্ধীনগর: গুজরাতের তৎকালীন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন। যা ঘিরে শুরু হয় হইচই। ‘প্রতিবাদী’ সেই আমলা প্রদীপ শর্মার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হল। তাঁকে ৭৫ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। অভিযোগ, ২০০৪ সালে কচ্ছের জেলাশাসক থাকাকালীন একটি বেসরকারি সংস্থাকে কম দামে জমি পাইয়ে দিয়েছিলেন এই আইএএস অফিসার। সেই মামলাতেই এদিন শাস্তি হল তাঁর। ২০১৪ সালে ঘুষ নেওয়ার একটি অভিযোগেও নাম জড়িয়েছিলেন এই আমলার। বর্তমানে ভুজের জেলে বন্দি তিনি।
২০০৯ সাল। তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মোদি। সেসময় এক মহিলা স্থপতির উপরে নজরদারির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন প্রদীপ। ২০০৯ সালে একটি ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয় সংবাদমাধ্যমে। দাবি করা হয় অডিওটি গুজরাতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দুই শীর্ষ পুলিস আধিকারিকের মধ্যে কথোপকথনের। এর মাধ্যমেই সামনে আসে নজরদারির কথা। সেই ফোনালাপে ‘সাহেব’ বলে উল্লেখ করা হয় এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ ওঠে, সেই ‘সাহেব’ আসলে নরেন্দ্র মোদি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন মোদি, শাহরা। তারপরই ঘুষের অভিযোগে বিদ্ধ হন ওই আমলা। অভিযোগ ওঠে, জেলাশাসক থাকাকালীন প্রদীপ একটি বেসরকারি সংস্থাকে ২৫ শতাংশ কম দামে জমি পাইয়ে দেন। যে কারণে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা লোকসান হয় সরকারের। স্ত্রীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এই কাজ তিনি করেছিলেন বলে দাবি করা হয়। সেই মামলায় গত সোমবার তাঁকে দুর্নীতি দমন আইনের দু’টি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।