• আধার সংক্রান্ত তথ্যের গোপনীয়তা   রক্ষায় নির্দেশিকা জারি ডাকবিভাগের
    বর্তমান | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডাকঘরগুলিতে চালু হয়েছে আধার যাচাইকরণের মাধ্যমে আ্যাকাউন্ট খোলা এবং লেনদেন প্রক্রিয়া। ডাকবিভাগের দাবি, এর ফলে কাগুজে নথি সরিয়ে যেমন আরও সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে, তেমনই তা সুরক্ষিত থাকবে। সব আর্থিক পরিষেবাকে একসঙ্গে আনা হবে না আধার যাচা‌করণ বা ই-কেওয়াইসি’র আওতায়। ধাপে ধাপে সেই কাজ শেষ হবে। সেইমতো আংশিকভাবে ডাকবিভাগের সফ্টওয়্যারের বদল আনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, নয়া প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের আধার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষিত হবে কি? এর সুষ্ঠু সমাধানে আধার-নীতি ঘোষণা করল ডাক বিভাগ। তারা একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনওভাবেই আধার সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে অবহেলা বা গাফিলতি চলবে না।    


    নির্দেশিকায় কী জানিয়েছে দপ্তর? তাদের বক্তব্য, আধার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আধার আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং ডিজিটাল পার্সেনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন মেনে ব্যবহার করতে হবে। বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে যে আধার তথ্য নেওয়া হচ্ছে, তা কোনওভাবেই কোনও পোস্ট অফিসে জমিয়ে রাখা যাবে না। এমনকী আধার কার্ডের নম্বর বা প্রতিলিপিও জমানো যাবে না কোনওভাবেই। আধার নম্বরে প্রকাশ্যে রাখা যাবে না। যদি কোনও প্রয়োজনে তা রাখতেই হয়, তাহলে শেষ চারটি সংখ্যা সামনে রাখা যেতে পারে। আগের সংখ্যাগুলি ঢেকে রাখতে হবে। এরপরও যদি কোনওভাবে বোঝা যায় আধার সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে আধার ইউআইডিএআই বা আধার কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। ই-কেওয়াসি জমা করার সময় যে বায়োমেট্রিক ডিভাইস বা যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, তা অবশ্যই আধার কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট মাপকাঠি বা গুণমান অনুযায়ী হওয়া চাই। আধারের তথ্য কোনও সঙ্কটময় অবস্থায় রয়ে যাচ্ছে কি না, তা জানতে নিয়মিতভাবে যাচাই বা পরীক্ষা করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। যে-সময়ে গ্রাহকের আধার যাচাই হচ্ছে, সেই সময়ই গ্রাহককে তা এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে জানাতে হবে। এর ফলে কোনও গ্রাহক যদি সেইসময় বাস্তবে ই-কেওয়াইসি পরিষেবা না নেন, তাহলে সম্ভাব্য প্রতারণা সম্পর্কে তিনি তৎক্ষণাৎ অবগত হবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)