মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর মামলায় ১৩ জনকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন। এর মধ্যে ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার এবং ৬ জন সিনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। বুধবার সাসপেন্ডেড এই ৬ চিকিৎসকের মধ্যে এক সিনিয়র চিকিৎসক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই চিকিৎসক অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট।
পল্লবী হাইকোর্টকে জানান, সিআইডি তড়িঘড়ি অভিযোগ দায়ের করে সেখানে কর্মরত ডাক্তারদের বলির চেষ্টা করছে। সিআইডির এই ভূমিকা চ্যালেঞ্জ করে রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
তার আরও বক্তব্য, যেখানে স্যালাইন নিয়ে এত বিতর্ক হচ্ছে, সেখানে সেই স্যালাইন নিয়ে তদন্ত না করে, পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে ডাক্তারদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ দিন মামলা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে আদালত। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঁচ প্রসূতির সিজ়ার করা হয়। সন্তানের জন্ম দিয়ে মৃত্যু হয় মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির। প্রশ্ন ওঠে, এক বিশেষ সংস্থার রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের ভূমিকা নিয়ে।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন। পরে স্বাস্থ্যভবন আরও এক চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে মেদিনীপুর মেডিক্যালের ১৩ জন চিকিৎসক সাসপেন্ডেড। তাঁদেরই একজন পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় এ বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ।