• নির্যাতিতার পরিবার, সঞ্জয়ের বক্তব্যও শুনতে চায় হাইকোর্ট, ঝুলে রইল ফাঁসি চেয়ে রাজ্যের মামলা
    এই সময় | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি কর মামলার নিম্ন আদালতের রায় রাজ্য চ্যালেঞ্জ করতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন তুলল CBI। আইনশৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্যের বিষয়, তাই রাজ্য এই আবেদন করতে পারে বলে প্রথমেই যুক্তি দেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তবে এর কোনও নিষ্পত্তি হলো না বুধবার। এ দিন রাজ্য এবং CBI সওয়াল-জবাব করলেও আদালত মনে করছে, এই মামলায় মৃতের পরিবারের বক্তব্য শোনা জরুরি। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ও মামলায় যুক্ত হতে চাইছে। তাই তার বক্তব্যও শুনতে চায় আদালত। তাই এই মামলায় আগামী সোমবার শুনানি হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে।

    আদালত জানিয়েছে, এর মধ্যে যদি নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের পরিবার আদালতের সামনে আসে তাহলে আগে তাদের বক্তব্য শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আরজি কর নিয়ে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যের করা আবেদন আপাতত ঝুলেই রইল।

    সোমবার শিয়ালদহ আদালত আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি দেয়। বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর নির্দেশনামায় লিখেছেন, এই ঘটনাকে তিনি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ হিসেবে বিবেচনা করছেন না। নিম্ন আদালতের এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাস্তি ঘোষণার পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, আরজি করের ঘটনাকে তিনি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা বলেই মনে করছেন। সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও তোলেন তিনি। এরপরই শিয়ালদহ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মঙ্গলবার মামলা দায়ের করতে চেয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়।

    বুধবার এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে রাজ্য সরকারের চ্যালেঞ্জ করা নিয়ে আপত্তি জানান CBI-এর আইনজীবী ও ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার। CBI-এর পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, নির্যাতিতার পরিবার, কিংবা দোষী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ না হলে, রাজ্য কী ভাবে এই আবেদন করতে পারে? এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাজ্য। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং পাবলিক প্রসিকিউটর দেবাশিস রায়।

    এ দিন মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও। তবে তাঁর কাছে অনুমতি না থাকায় ওকালতনামায় সই করিয়ে আনতে বলা হয়। সে ক্ষেত্রে সঞ্জয়ের বক্তব্যও শুনবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Link to this news (এই সময়)