এই সময়, মালদা: আশা কর্মীদের জন্য আগেই তা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বারে মালদায় এসে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের হাতেও ফোন তুলে দেওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দিয়ে প্রতিটি বাড়িতে জন সংযোগ বাড়াতে পারবেন অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীরা। সেই সঙ্গে মানুষের সমস্যা শুনে সেটি প্রশাসনকে জানাতে পারবেন। আর সরকারি পরিষেবার নাম করে কেউ যদি টাকা চায়, তাহলে উপভোক্তারা সরাসরি সংশ্লিষ্ট থানায় এফআইআর করতে পারবেন। প্রয়োজনে দিদিকে বলো–য় ফোন করেও জানানো যাবে। সোমবার দুপুরে মালদার অনুষ্ঠানে গিয়ে এ ভাবেই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন ইংরেজবাজারের জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিদি বলেন, ‘শুধু চায়ের দোকানে আড্ডা দিলেই হবে না। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে খবর সংগ্রহ করতে হবে ভিলেজ পুলিশকে। সীমান্তে কে, কোথায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন, তার খোঁজও রাখতে হবে। মানুষের খবর রাখার চেষ্টা করুন। কোথায়, কে সমস্যায় আছেন? এলাকায় কোনও অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে কিনা, সে সব বিষয়ে নজর রাখতে হবে তাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশা দিদিদের মতো অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও ফোন দেওয়া হবে। কারণ, তাঁরা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করেন। মানুষের বাড়ি বাড়ি যান এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ–খবর রাখেন। সে ক্ষেত্রে যদি কোথাও কোনও রকম সমস্যার কথা জানতে পারেন, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনকে তৎক্ষনাৎ জানাতে পারবেন।’ দুয়ারে সরকার প্রকল্পে সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে কোথাও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে দাবি করলেন তিনি।
পাশাপাশি এ দিন ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতির তদারকির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। সুতরাং অযথা সেখানে গোলমাল বাঁধাতে যাবেন না।’