যন্ত্রের সাহায্যে গর্ভস্থ শিশুর হার্টবিট কীভাবে নিখুঁতভাবে মাপা যায়? প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যা তুলে ধরলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা
আজকাল | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেমন আছে গর্ভস্থ শিশু? তার হার্টবিট কি স্বাভাবিক? সচরাচর চিকিৎসকরা এই প্রশ্নের উত্তর পেতে গর্ভবতী মায়ের পেটে স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে পরীক্ষা করেন। কিন্তু এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেতে স্টেথোস্কোপ কিন্তু যথেষ্ট নয়। এর নিখুঁত উত্তর পেতে বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে করা হয় 'কার্ডিওটোকোগ্রাফি'। যাকে বলা হয় 'ইলেকট্রনিক ফিটাল মনিটরিং'। কিন্তু কীভাবে ব্যবহার করা যায় এই যন্ত্র? জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে এটাই তুলে ধরলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা।
বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এই বিষয়ে আয়োজিত একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এসএসকেএম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ নারায়ণ জানা। ছিলেন প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ পেরিনেটোলজি অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন-এর কলকাতা চ্যাপ্টার-এর প্রেসিডেন্ট ডাঃ বিশ্বজ্যোতি গুহ, সেক্রেটারি ডাঃ তুলিকা ঝা প্রমুখ। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন শতাধিক স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী চিকিৎসকরা।
এবিষয়ে ডাঃ নারায়ণ জানা বলেন, প্রসবের সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে ততই গর্ভস্থ শিশুর ক্ষেত্রে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেইসময় শিশুর হার্টবিট কত আছে সেটা পর্যবেক্ষণ করাটা খুব জরুরি। যত নিখুঁতভাবে সেটা জানা যাবে ততই শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। যেটা এই যন্ত্রের সাহায্যে সম্ভব। রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে প্রথম এই কার্ডিয়োটোকোগ্রাফি যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে। এসএসকেএম হাসপাতালে। পরবর্তী সময়ে যার ব্যবহার সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়। তবে যন্ত্রের যাতে যথাযথ ব্যবহার করা হয় সেজন্য এর প্রশিক্ষণও জরুরি। ইতিমধ্যেই এই সোসাইটির পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ৫৬টি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। যা করোনার ওই কঠিন সময়েও থেমে থাকেনি।