বরুণ সেনগুপ্ত: বয়স মাত্র ৯ বছর। তিন দিন ধরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছোট ছেলে। সেই হারিয়ে যাওয়া ছেলের পচাগলা দেহ খুঁজে পাওয়া গেল ভাগাড়ের আবর্জনা থেকে। শ্রমিকরা মাটি কাটতে গিয়েই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। হাফপ্যান্ট পরা এক বাচ্ছার পচাগলা দেহ পরে আছে ভাগাড়ের মধ্যে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ বালকের নাম বুলু দাস। তিন দিন ধরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ খড়দহ নালীর মাঠের বাসিন্দা বুলু দাস। তিন দিন আগে টিটাগর থানায় হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগও হয়েছিল। সকালে সাফাই কর্মীরা যখন টিটাগড় ভাগাড়ের আবর্জনা সাফাই করাচ্ছিলেন, সেই সময় উদ্ধার হয় ওই কিশোরের দেহ। দেহ উদ্ধার করে পুলিস ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। কিভাবে ওই বালকের দেহ ওই আবর্জনার ভেতরে এলো, কারা মারল সবটাই তদন্ত করছে টিটাগর থানার পুলিস।
এক সাফাই কর্মী জানান ভাগাড়ে আবর্জনা সরাচ্ছিলেন তিনি। ওই আবর্জনার ভিতরেই বাচ্চার দেহ ভাগারের ভিতরে পরে থাকতে দেখেন তিনি। তবে দেহটি কবে থেকে ভাগাড়ে পড়ে ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের নিজের ৮ বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন জন্মদাত্রী মা। জানা গেছিল নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের মৌ লিহাটির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মন্ডল। স্ত্রী তনুজা মন্ডল। তাদের দুটি পুত্র সন্তান হয়। মাত্র ৬-৭ মাস বয়সে ছোট ছেলের মৃত্যু হয়। তখনও মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। বড় ছেলের নাম দেবজিত মন্ডল (৮)। স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।