বরুণ সেনগুপ্ত: প্রায়শই মারধর-অত্যাচার করত ছেলে। অপমানে আত্মঘাতী হলেন সোদপুরের ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধ। অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করেছে খড়দহ থানার পুলিস। তার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। খবর পেয়ে ওই বৃ্দ্ধর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিস। জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে সজল দেব নামে বৃ্দ্ধার ছেলেকে।
বীরেন দেব নামে মৃত ওই বৃদ্ধের বাড়ি সোদপুরের এল এম বি রোড এলাকায়। অভিযোগ, ছেলে সজল দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ঠিকমতো খেতে দিত না বাবাকে। মারধরও করত। এইসব বিষয় ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তার পরেই এতবড় পদক্ষেপ করেন ওই বৃদ্ধ। এমনটাই দাবি প্রতিবেশীদের।
ভালো একটি চাকরি করতেন বীরেন দেব। ভালো বেতন পেতেন। তিনি যে বাড়িঘর বানিয়েছিলেন। সেই বাড়িও সম্প্রতি ছেলের নামে লিখে দিয়েছেন। প্রতিবেশীদের দাবি ছেলের চাপেই সেই বাড়ি তিনি লিখে দেন। অভিযোগ, বাড়ি লিখে দেওয়ার পরই ছেলে ও ছেলের বউ তাঁর উপরে অত্য়াচার শুরু করে। খেতেও দিত না। বাড়ি থেকে বের করে দিত। প্রতিবেশীরা ওই বৃদ্ধকে তাদের বাড়িতে রাখতেন। তার উপরে যারা ওই বৃদ্ধকে বাড়িতে আশ্রয়ে দিতেন তাদের উপরে ঝামেলা করত ছেলে ও ছেলের বউ। এমনও অভিযোগ উঠেছে। ফলে মনে করা হচ্ছে দিনের পর দিন ওই অত্যাচারের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বৃদ্ধ। এমনটাই মনে করছেন প্রতিবেশীরা।
বৃদ্ধের এক প্রতিবেশী গৃহবধূ বলেন, ওঁর ঘর লিখিয়ে নিয়েছিল ছেলে। কিন্তু একটা ঘরও শেষপর্যন্ত জেটেনি। কারও কারও বাড়িতে যেতেন। এর জন্য আমরা সজলকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ও আসেনি। উনি খুব খারাপ অবস্থায় ছিলেন।
অন্য এক প্রতিবেশী বলেন, ছেলে ও ছেলে বউ খুব অত্যাচার করত বৃদ্ধের উপরে। মারধর করা হত। বাড়ির কাজ করানো হত। খেতে দিত না। আমার বউ কয়েকদিন খাইয়েছে।