ব্যান্ডেলে উদ্ধার হাজার বছরের পুরনো বিষ্ণুমূর্তি, গুপ্ত যুগের কি? দেখছেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের কর্তারা
প্রতিদিন | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: ব্যান্ডেলের স্কুলে মাটি খোঁড়ার সময় উদ্ধার হাজার বছরের পুরনো বিষ্ণুমূর্তি। অনুমান বেলে পাথরের তৈরি মূর্তিটি গুপ্ত যুগ বা তার পরবর্তী সময়ের। ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে যান পুরাতত্ত্ব বিভাগের কর্তারা। পরীক্ষার পরই নির্দিষ্ট সময়কাল বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি ব্যান্ডেলের বিক্রমনগর হরনাথ নীরদা সুদন্দী ঘোষ উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্যারেজ তৈরির জন্য মাটি খোঁড়া হয়। এক কোণায় তা জমা করে রাখা ছিল। সেখানে খেলার সময় মূর্তিটি দেখতে পায় জ্যোতি মণ্ডল ও মোহিনী সরকার নামে নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়া। বিষ্ণু মূর্তিটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা সংগমিত্রা পালিত ও ইংরেজি শিক্ষিকা করুণা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যায় তারা। শিক্ষিকারা বুঝতে পারেন মূর্তিটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁরা বাকি শিক্ষকদের বিষয়টি জানান। খবর দেওয়া হয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগে।
আজ, বুধবার ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের কলকাতা দপ্তর থেকে দুই কর্তা ডঃ সঞ্জয় পণ্ডা ও প্রদীপ কর হরনাথ স্কুলে আসেন। মূর্তিটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। যে জায়গা থেকে তা উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গাটিও পরিদর্শন করেন তাঁরা।
আর্কিওলজিস্টরা বলেন, “দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিষ্ণুর মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। যা প্রায় হাজার বছর আগের হতে পারে। এক সময় এই এলাকা দিয়ে গঙ্গার প্রবাহ ছিল। এরকম অনেক মূর্তি ২৪ পরগনাতে আগেও পাওয়া গিয়েছে। এই মূর্তি নিয়ে গিয়ে সেগুলির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। খতিয়ে দেখার পরই মূর্তিটির সময়কাল জানা যাবে।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈকত দাস বলেন, “স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক বিশ্বরূপ দে পুরাতত্ত্ব নিয়ে চর্চা করেন। তিনি গুগল ঘেঁটে দেখেন এই মূর্তি গুপ্ত যুগের হতে পারে। তাঁর কথা মতো আমরা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ছবি পাঠাই। তাঁরা দেখে জানান, এর ঐতিহাসিক মূল্য অনেক।” স্কুল থেকে এই ধরনের একটি ঐতিহাসিক নির্দশন উদ্ধারে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।