স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে মেদিনীপুর ডিএম অফিসের বাইরে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি মীনাক্ষীদের
প্রতিদিন | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
সম্যক খান, মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি, শিশুমৃত্যু ও স্যালাইন কাণ্ডে ডিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ ডিওয়াইএফআই, এসএফআইয়ের। বুধবার বেলায় মেদিনীপুর শহরে ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি হয়। বামেদের যুব ও ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা মিছিল করে জেলাশাসক দপ্তরে যান। ডিএম অফিসের সামনে প্রবল নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল। পুলিশের সঙ্গে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের বেশ কিছু সময় ধস্তাধস্তিও চলে।
চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতি মারা যান। অন্য চার প্রসূতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণেই একজন মারা গিয়েছেন। অন্যরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই বিষয়ে একাধিক নির্দেশ দেন। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। ঘটনার পর থেকে রাজ্য সরকারের দিকেই নিশানা করছে সিপিএম। স্যালাইন কাণ্ড আড়ালের চেষ্টা করছে নবান্ন। জোরালোভাবে তাও দাবি করা হয়।
সেই ইস্যুতেই আজ বুধবার মেদিনীপুর ডিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে আসেন ডিওয়াইএফআই, এসএফআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা। মিছিলের সামনেই ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। এদিন ডিএম অফিসের সামনে এদিন সকাল থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা ছিল। মিছিল অফিসের সামনে এলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগনোর চেষ্টা হলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তাতেই বসে পড়েন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। বেশ কিছু সময় ধরে চলে এই অবস্থান।
এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুর্নীতির শিকড় পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যদপ্তরের ভিতরে। প্রতিবাদের জন্য রাস্তাতে বামপন্থীদের থাকতেই হবে।” স্যালাইনকাণ্ডকে রাজ্য সরকার হিমঘরে পাঠিয়ে দিতে চাইবে বলে তাঁর অভিযোগ।