• দুয়ারে সরকার শিবিরে মিলবে ৩৭টি প্রকল্পের সুবিধা, যুক্ত হলো এই স্কিমও, আর কী থাকছে?
    এই সময় | ২২ জানুয়ারি ২০২৫
  • আগামী ২৪ জানুয়ারি, শুক্রবার রাজ্যে শুরু হচ্ছে নবম দুয়ারে সরকার শিবির। প্রায় এক বছর পর রাজ্যে শুরু হবে কর্মসূচি। চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প চালিয়ে মোট ৩৭টি প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন জমা নেওয়া হবে। গোটা রাজ্য জুড়ে ব্লকে ব্লকে এই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নবম দুয়ারে সরকার শিবিরে জুড়ল স্পেশাল একটি স্কিমও।



    প্রকল্পটি কী?

    জানা গিয়েছে, ‘কৃষির যন্ত্রাংশ কেনার আর্থিক সাহায্য’ প্রকল্পে আবেদন করার সুবিধে মিলবে দুয়ারে সরকারে। কী এই প্রকল্প? রাজ্যের কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, হস্তচালিত ছোট যন্ত্র থেকে বিদ্যুৎচালিত মেশিন সবেতেই এই প্রকল্পে মিলবে ভর্তুকি। উপকৃত হবেন কৃষক থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও। ৫০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সহযোগিতা ভর্তুকি হিসেবে দেবে কৃষি দপ্তর। শক্তি চালিত যন্ত্রের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়। ছোট যন্ত্রপাতিতে সাধারণত ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়। পাওয়ারটিলার, সোলার পাম্প, ড্রোন, সিড ড্রিলের মতো অনেক কিছুতেই ভর্তুকি মেলে। কৃষি দপ্তরের জনপ্রিয় এই প্রকল্পের সুবিধা এ বার মিলবে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে।

    নবম দুয়ারে সরকার

    ২০২৩ সালের ১৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছিল অষ্টম দুয়ারে সরকার। সেখানে ৩৬টি প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। এ বার সেগুলির সঙ্গেই যোগ হচ্ছে ‘কৃষি যন্ত্রাংশ কেনার আর্থিক সাহায্য’ সংক্রান্ত প্রকল্প। স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্যভাতা, কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, মানবিক, রূপশ্রী-র মতো প্রকল্প বা ভাতা-র সুবিধা পেতে এই ক্যাম্পে আবেদন করা যাবে।

    কোথায় হবে ক্যাম্প?

    ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় এই ক্যাম্প হয়ে থাকে। কোনও স্কুল বা সরকারি অফিস চত্বরে এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এ বার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগে যে সব এলাকা বেশি গুরুত্ব পায়নি, সেখানে ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়াতে হবে। যাঁদের আবেদন গ্রাহ্য হবে না, তাঁদের আবেদন বাতিল হওয়ার কারণ এবং কী করণীয়, তা ঠিক মতো বুঝিয়ে দিতে হবে বলেও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কবের মধ্যে মিলবে পরিষেবা?

    জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে, ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্প। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব আবেদন খতিয়ে দেখতে হবে। এই সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ অন্য কোনও অজুহাতে টাকা চাইলে রাজ্য একেবারেই বরদাস্ত করবে না। এই কথা SOP-তেই (Standard Operating Procedure) বলে দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টে অবধি চলবে এই ক্যাম্প।

    ক্যাম্পে কী কী ব্যবস্থা থাকছে?

    রাজ্যের নির্দেশ সমস্ত ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসূতিদের জন্য ‘SHE CORNER’ বা বিশেষ কর্নার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ফটোকপিও যাতে বিনামূল্যে হয়, সে ব্যাপারেও  নজর রাখতে বলা হয়েছে।

    যা আপনাকে জানতেই হবে...



    নিজের এলাকার কোথায় ক্যাম্প হবে, কী কী স্কিমে আপনি সুবিধে পেতে পারেন? সমস্ত কিছুই জানা যাবে এই লিঙ্কে ক্লিক করে।

  • Link to this news (এই সময়)