প্রতিদিনের মতোই খেয়েদেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর তেরোর কিশোর। সাইকেলে চেপে স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস ছিল তার। কিন্তু বুধবার সে আর পৌঁছল না স্কুলে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। হুগলির তারকেশ্বরের বালিগোড়ি ২ পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনা। নিহত পড়ুয়া বছর তেরোর দ্বীপ কোলে তারকেশ্বরের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ধনিয়াখালির চাঁদপুরে বাড়ি দ্বীপের।
এ দিন, সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরোয় দ্বীপ। চাঁদপুর থেকে মহেশপুর হাইস্কুলে আসছিল সে। সেই সময়েই একটি লরি নন্দ কুঠি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। সামসেরপুরের কাছে একটি লরি তাকে ধাক্কা মারে। লরির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ওই স্কুল পড়ুয়া। স্থানীয় বাসিন্দারাই তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পরেই তেতে ওঠে এলাকা। ঘাতক লরিটিকে ধরার জন্য তাড়া করে জনতা। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরে ভারামালপুর এলাকায় লরিটিকে আটকায় জনতা। লরিটিকে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ লরিটিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে গেলে বাধা দেয় জনতা। পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার দাবিও ওঠে। ঘাতক লরির চালক ও খালাসিকেআটক করেছে পুলিশ। ঘটনার যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে তারকেশ্বর থানা।
স্কুল পড়ুয়ার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রেসিডেন্ট চন্দ্রশেখর ঘোষ জানান, গ্রামের ভিতর দিয়ে খুব জোরেই লরিটা যাচ্ছিল। তারপরেই স্কুল পড়ুয়াকে ধাক্কা মারে। মহেশপুর স্কুলের শিক্ষক জয়ন্ত বারিক বলেন, ‘আজকের দিনটা আমাদের কাছে খুব দুঃখের। স্কুলে পৌঁছে খবর পেয়েই হাসপাতালে এসেছি। স্কুলের সামনের রাস্তাটি খুব খারাপ। প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।’