• ‘পাচারকারীদের গুলি করে মারা হবে, এটা ভাষা?’, মমতার প্রশ্নে বনকর্তা বললেন...
    এই সময় | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • আলিপুরদুয়ারে বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজাভাতখাওয়ায় টুরিস্ট চার্জ থেকে শুরু করে পিকনিক করায় বাধা-সহ একাধিক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। বুধবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক থেকেই জেলার সঙ্গে বনদপ্তরের সমন্বয়কে আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, ‘সতর্কতামূলক কোনও পোস্টারের ক্ষেত্রেও ভাষা চয়নে সতর্ক হতে হবে।’

    প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মোবাইল ফোন বের করে একটি ছবি দেখান বনদপ্তরের এক কর্তাকে। এর পরই বলেন, ‘ওই দেওয়ালে লেখা আছে পাচারকারীদের গুলি করে মারা হবে। এটা কোনও ভাষা হলো? আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলো।’

    যদিও পরে উপস্থিত বনদপ্তরের আধিকারিক জানান, এটা বায়ুসেনা লিখেছে। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ রকম কিছু করতে গেলে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বনদপ্তরের ওই আমলাকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, বিষয়টি দেখতে। মমতার কথায়, ‘এটা আনহেলদি লাইন।’

    একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, না বুঝে কেউ ফরেস্টের রাস্তা দিয়ে গেলেও অত্যাচার হয়। ডিএফওদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া উচিত নয়। হাতির তাণ্ডব হতে পারে। কিন্তু ভুল করে কেউ গেলে কখনও কখনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই অ্যাকশন মানুষের পছন্দ নয়। বন, অরণ্য, সবুজে মানুষেরও তো অধিকার আছে।’

    শুধু তাই নয়, রাজাভাতখাওয়ায় পর্যটকদের গাড়ি নিয়ে ঢুকলে প্রায় আড়াই হাজার টাকা দিতে হয়, এমনও অভিযোগ শোনেন মমতা। শুনেই রেগে যান তিনি। কেন পর্যটকদের ঢুকতে এতো টাকা নেওয়া হয়, কার অনুমতিতে, জানতে চান। বনকর্তা জানান, এটাই চলে আসছে। শুনে মমতা বলেন, ‘জমিদারি নাকি। গায়ের জোর? ফরেস্ট কি সরকারের বাইরে?’ অত্যন্ত বিরক্ত হন তিনি। নিজেদের মতো করে তারা চলছে বলেও উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা।

  • Link to this news (এই সময়)