জঙ্গলে ঢুকতে পর্যটকদের থেকে নেওয়া যাবে না বাড়তি ‘ফি’, অভিযোগ পেয়েই সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষোভ পোস্টারের ভাষা নিয়েও ...
আজকাল | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
অতীশ সেন, ডুয়ার্স: জঙ্গলে পর্যটকদের ঢুকতে 'ফি' দিতে হয় বড় অঙ্কের। গাড়ি নিয়ে ঘুরলে গুনতে হয় প্রায় আড়াই হাজার টাকা। বিধায়কের কাছে শুনে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও বাড়তি টাকা নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে, জঙ্গলের পথে লাগানো সতর্কীকরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বুধবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকেই রাজাভাতখাওয়ার সংরক্ষিত জঙ্গলে ঢুকতে পর্যটকদের মাত্রাতিরিক্ত খরচের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তোলেন আলিপুরদুয়ার এর বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজাভাতখাওয়ায় পর্যটকদের গাড়ি নিয়ে ঢুকতে অনেক বেশি টাকা দিতে হচ্ছে, মাথাপিছু গাড়িপিছু আড়াই হাজার টাকা।‘ একথা শুনেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘বাড়তি টাকা কেন দিতে হবে পর্যটকদের? কার অনুমতিতে টাকা নেওয়া হচ্ছে? কে ঠিক করেছে?’ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বনদপ্তরের এক কর্তা জানান, গাড়ির এন্ট্রি এবং গাড়িতে সওয়ার পর্যটকদের মাথাপিছু ফি এই দুই মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দিতে হয়৷ এটা চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন ঠিক করেছেন। কোন এলাকায় যাওয়ার জন্য কত ফি- তার একটি তালিকা রয়েছে। উত্তরে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বনদপ্তর কি সরকারের বাইরে? এরপরই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘পর্যটকদের থেকে আর কোনও বাড়তি টাকা নেওয়া যাবে না। এত টাকা নেওয়া হলে কেন পর্যটক আসবে?’ দ্রুত এই ধরনের সব ফি প্রত্যাহার করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জঙ্গলের রাস্তায় লাগানো একটি পোস্টার দেখেও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পোস্টারটির ছবি তিনি মোবাইলে তুলে এনেছিলেন। বৈঠক থেকে সেপ্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ছবিটা তুলে নিয়ে এসেছি, ছবিটা চিফ সেক্রেটারিকে দেখাব৷‘ তারপরে বলেন, ‘ভাগ্যিস হনুমান গুলো দেওয়ালে লাগানো কাপড়টা ছিড়ে দিয়েছিল, তাই পোস্টারটা দেখা গিয়েছে। হনুমানগুলিকে ধন্যবাদ।‘ পোস্টারের ভাষা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা কি কোনও ভাষা হল? আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটা বলা যেত। যারা আইন জানে না, জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এমন অনেক স্থানীয়দের উপর অত্যাচার হয়। বিষয়টা আমার নজরে থাকল।‘ বিষয়টি খুবই 'আন হেলদি লাইন' বলে তিনি জানান। বনদপ্তর জানায়, এই নির্দেশিকা বায়ুসেনার। বায়ুসেনার সঙ্গে ডিএম এবং এস.পি'রা কথা বলে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেন তিনি।