• নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, সিউড়িতে বিক্ষোভ, অবরোধ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
    বর্তমান | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: চকোলেট কিনতে আসা নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দোকানদারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার সকালে সিউড়ির হাটজনবাজারে ওই দোকানের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান নাবালিকার পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানের সামনে থাকা ফেস্টুন ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায় তারা। পুলিসের আশ্বাসে তখনকার মতো অবরোধ উঠলেও বিকেলে ফের বিক্ষোভ দেখানো হয়। এদিন বিকেলেই পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম প্রদীপ কীর্তনীয়া। ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিত্সা করানো হয়। এদিনই নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। জেলার পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।


    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা মঙ্গলবার রাতে ওই মুদিখানায় চকোলেট কিনতে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেসময় দোকানদার তাকে দাঁড় করিয়ে অন্য খদ্দেরদের ছেড়ে দেয়। এরপর ওই নাবালিকাকে ভিতরে ডেকে নিয়ে গিয়ে সিঁড়ির আড়ালে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভয়ে নাবালিকা চিৎকার করতেই তার মুখ চেপে ধরে। নাবালিকার মা বলেন, মেয়ে চকোলেট আনতে দোকানে গিয়েছিল। বাড়িতে এসেই শুয়ে পড়ে। প্রথমে আমাকে কিছু বলেনি। পরে কয়েকজনের কাছ থেকে জানতে পারি, মেয়েকে দোকানের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সবকিছু জানতে পারি। রাতেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমি ওর কঠোর শাস্তি চাই। নাবালিকার পিসি বলেন, আমরা খুব ভয়ে আছি। ওর কঠোর শাস্তি চাই।


    স্থানীয় এক মহিলা বলেন, আমি ঘরের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। ওই নাবালিকাকে দোকানের ভিতরে ঢুকতে দেখি। অনেকক্ষণ পরেও বেরতে না দেখে ওই দোকানে গিয়ে খোঁজ করি। দোকানে কেউ নেই বলে ওই দোকানদার জানিয়েছিল। তখন সম্ভবত মেয়েটার মুখ চেপে ধরেছিল। ঘটনাটি জানাজানি হতেই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতেই বিক্ষোভ চলে। 


    এদিন সকাল থেকেই অভিযুক্তের বাড়ির সদর গেট বন্ধ ছিল। বাড়ির সদস্যরা বাসিন্দাদের জানান, অভিযুক্ত মঙ্গলবার রাত থেকে বাড়ি ফেরেনি। পুলিস তার খোঁজ পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তার দাদাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)