বাল্যবিবাহ রোধে সাধারণ মানুষের সচেতনতায় দুয়ারে সরকারে বিশেষ শিবির করার উদ্যোগ নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি অব্দি দুয়ারে সরকারের নবম ফেজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আয়োজিত হবে। এবারের দুয়ারে সরকারে বাল্যবিবাহ রোধে বিশেষ সচেতনতা ছাড়াও জল সংরক্ষণ, পথ দুর্ঘটনা বন্ধ করতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচী রূপায়ণ, স্বাস্থ্য শিবির, প্রতিবন্ধী নির্ণয় করণ শিবির করার উপরে জোর দেওয়া হবে। জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজনেরা বসবাস করেন সেইসব এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। জেলা প্রশাসন মনে করছে, এখনো জেলার বহু সংখ্যক মানুষ এই শিবির থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির পরিষেবা পাওয়ার থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন। তাদের সরকারি কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা প্রাথমিক লক্ষ্য।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এবারে ৬০৫৯ টি দুয়ারে সরকার শিবির হবে। এর মধ্যে স্থায়ী শিবিরের সংখ্যা ৩৩৯৯ টি এবং মোবাইল শিবিরের সংখ্যা ২৬৬০ টি। এখনো অব্দি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দুয়ারে সরকারের ৮ টি ফেজে মোট ৩৬ হাজার ৫৫৪টি শিবিরে ৫৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৭৪ জন মানুষ এসেছেন। নবম ফেজে রাজ্য সরকারের ১৭ টি দপ্তর হাজির হবে এবং ৩৭ টি জনমুখী কর্মসূচির পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ।
খড়্গপুরের মহকুমা শাসক পাতিল অশোকরাও যোগেশ বলেন, খড়গপুর লোকাল থানা এলাকা অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ। এই এলাকায় ১৬ এবং ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষেকে পথ নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন করার জন্য খড়গপুর ২ নং ব্লকের দিগরা মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতায় সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি রূপায়ণ করা হবে। এছাড়া খড়গপুর ১, দাঁতন ১ নারায়ণগড় সহ মহকুমার চারটি ব্লকে প্রিমিটিভ ট্রাইবাল অর্থাৎ লোধারা থাকেন । বহু লোধা সম্প্রদায়ের মানুষ সরকারি পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত। তাদের কাছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের জনমুখী কর্মসূচির পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এবারের দুয়ারে সরকার ফেজের সামনে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়। এছাড়া ব্লকে ব্লকে মেগা স্বাস্থ্যশিবির এবং প্রতিবন্ধী নির্ণয়করণ শিবির আয়োজন করার উপরেও জোর দেওয়া হবে।