অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সংগঠনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে পদক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। কয়েকদিন আগে অশোকনগরে একটি অনুষ্ঠানে বিধায়কের ‘অসংলগ্ন’ ব্যবহার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে মনে করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক।
এ দিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে দলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ দলের ভাবমূর্তির সঙ্গে খাপ খায় না। জেলা নেতৃত্বকে ওঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর উৎসবের শেষ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চে ‘বেসামাল’ অবস্থায় গান করতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। মঞ্চ থেকেই উপস্থিত এক মহিলাকে কিছু মন্তব্য করতেও শোনা যায়। ওই দিনের অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো (যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। এর পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। তৃণমূল নেতৃত্ব খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই অনুষ্ঠানে ‘অসংলগ্ন’ অবস্থায় হাজির হয়েছিলেন নারায়ণ গোস্বামী। বিষয়টি জানানো হয় দলনেত্রীকেও। তবে বিধায়কের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা দলের জেলা নেতৃত্বই ঠিক করবেন বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই কলকাতায় তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এমন কাজ করলে প্রথমে তিন বার সাসপেন্ড করা হবে। তাঁকে শোধরানোর সুযোগ দেওয়া হবে। অন্যথায় দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। যদিও দলের এই সিদ্ধান্তের পর নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে বিরোধী দলগুলির তরফেও। বারাসত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক শ্যামলেন্দু দে বলেন, ‘উনি যে কুরুচিকর ভাষা বা ইঙ্গিত ব্যবহার করেছেন, সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছে। অশোকনগরের সাংস্কৃতিক মর্যাদা নষ্ট করেছেন উনি।’ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বলেন, ‘অশোকনগর কখনও এ জিনিস আশা করে না। এ জিনিস বরদাস্ত করবে না। এটা গোটা অশোকনগরের কাছে লজ্জার।’