• টোটো, অটোর দাপটে করিমপুর কৃষ্ণনগর ভায়া নতিডাঙ্গা রুটে বন্ধ বাস
    বর্তমান | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, করিমপুর: টোটো এবং অটোর দাপটে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাস পরিষেবা। ফলে বর্তমানে করিমপুর কৃষ্ণনগর ভায়া নতিডাঙ্গা রুটে সারাদিনে একটিমাত্র বাস চলাচল করে। বাস পরিষেবা না থাকায় করিমপুর ২ ব্লক এলাকার বহু গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিদিন সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাজার, হাট, অফিস কিংবা অন্যান্য কাজে প্রতিদিন দশ কিমি দূরের করিমপুর কিংবা জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে যেতে হয়। একসময় করিমপুর কৃষ্ণনগর ভায়া নতিডাঙ্গা রুটে সারাদিনে প্রায় ২৪টি বেসরকারি বাস যাতায়াত করত। এমনকি বেসরকারি বাস পরিষেবার পাশাপাশি বছর চারেক আগে কলকাতা করিমপুর নতিডাঙ্গা রুটে একটি সরকারি বাসও চলাচল শুরু হয়েছিল। কিন্তু বছর দুয়েক আগে থেকে এই রুটে বেসরকারি বাসের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি বাসও চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সেই কারণে সাধারণ মানুষকে বেশি খরচ করে টোটো বা অটোর উপর ভরসা করে যাতায়াত করতে হয়। গোড়ভাঙা গ্রামের বাবু মণ্ডল বলেন, নতিডাঙ্গা, থানারপাড়া, রতনপুর, কিশোরপুর, ফাজিলনগর সহ এই ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। তাদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে করিমপুর অথবা কৃষ্ণনগরে  যাতায়াত করেন। কিন্তু বাস না থাকার কারণে কখনও তাদের ছোট গাড়িতে বেশি ভাড়া দিয়ে করিমপুর বা নাজিরপুরে যেতে হয়। এরপর নাজিরপুর থেকে বাসে কৃষ্ণনগর কিংবা তেহট্টে যান। এব্যাপারে করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং নতিডাঙ্গা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা রাজু মল্লিক বলেন, এই রুট দিয়ে একাধিক বাসের প্রয়োজন। আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকাকালীন এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধানের জন্য উচ্চ প্রশাসনকে জানিয়ে করিমপুর-কলকাতা ভায়া নতিডাঙ্গা রুটে একটি সরকারি চলাচলের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু কোনও অজানা কারণে সেটিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরে বেশ কয়েকবার এব্যাপারে যোগাযোগ করলেও বাস পরিষেবা এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের ২৪ টি বাসের জায়গায় এখন একটিমাত্র বেসরকারি  বাস করিমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল ৬ টা ৫ মিনিটে এই রুটে যাতায়াত করে। দূর দূরান্ত থেকে বাসে যাত্রীরা এসে একদিকে নাজিরপুর অন্যদিকে করিমপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে কখনও টোটো বা অটোতে চেপে এই রুটে যাতায়াত করতে হয়। ফলে যাতায়াতের জন্য এলাকার মানুষকে বাড়তি খরচের পাশাপাশি হয়রান হতে হয়। এই বিষয়ে করিমপুর ২ বিডিও সুপ্রতিম মজুমদার জানান, সমস্যা মেটাতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  - প্রতীকী চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)