• জমি মিললেও বেড়ার কাজ শুরু হয়নি গাইঘাটা সীমান্তে,  ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করল বিএসএফ
    বর্তমান | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল মঙ্গলবার। এদিন গাইঘাটা ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএসএফ আধিকারিকরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ০০৫ ও ১৪৩  নম্বর ব্যাটালিয়নের আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন গাইঘাটার বিডিও, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ব্লক ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রশাসন জানিয়েছে, গাইঘাটা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার জন্য প্রায় ১০০ একর জমির প্রয়োজন। এরমধ্যে প্রায় ৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গত দু’বছর ধরে এই জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিছু জমি পাওয়া গেলেও কাজ শুরু হয়নি। তবে বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরো জমি পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি চিহ্নিত করে রাখতে অস্থায়ী ভাবে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে।


    বনগাঁ মহকুমায় প্রায় ৯২ কিলোমিটার এলাকা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। গাইঘাটা ব্লকের বেশ কিছু এলাকা কাঁটাতার বিহীন। এই এলাকা দিয়েই সীমান্তে চোরাচালান হয়। গত দু’বছর আগে থেকেই বেআব্রু এলাকায় বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে, সীমান্তে জমিজটে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ থমকে আছে। যদিও বাস্তবে ছবিটা একটু অন্যরকম। গাইঘাটা সীমান্তে অনেকটা জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে। এখনও বেশ কিছুটা জমি অধিগ্রহণ বাকি থাকলেও অধিগ্রহণের কাজ চলছে। যে জমি পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়নি। এদিন ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বিএসএফের বৈঠকে এই বিষয়গুলি উঠে আসে।


    ব্লকের রামনগর এবং ঝাউডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে। গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য প্রায় ১০০ একর জমি কেনা হবে। জমি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। জমি কেনার কাজ শুরু হয়েছে। কিছু জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। পুরো জমি পাওয়া গেলেই কাজ শুরু হবে। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাগচি বলেন, গাইঘাটা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে কোনও জমিজট নেই। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জমি মাপার কাজ শেষ হয়ে যাবে।  ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)