• দেশজুড়ে কর্মসংস্থান বাড়ছে, বোঝাতে মরিয়া মোদি সরকার
    বর্তমান | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশজুড়েই বাড়ছে কর্মসংস্থান। অর্থাৎ, বিরোধীদের অভিযোগ মোটেও সত্যি নয়! দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমজনতাকে তা বোঝাতে রীতিমতো মরিয়া কেন্দ্রের মোদি সরকার। দিল্লির আসন্ন ভোটেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে উঠে আসছে কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব। এরইমধ্যে বুধবার ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের পে-রোল ডেটা প্রকাশ করেছে শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও)। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে, বিগত এক মাসে সারা দেশেই বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কর্মী পিএফে নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি। এর অর্থ, দেশজুড়ে বাড়ছে কাজের সুযোগ। দেশের মানুষের হাতে পর্যাপ্ত কাজ নেই, রোজগারে টান পড়ে ছে- নানান পরিসংখ্যান দেখিয়ে এমনই অভিযোগে সরব বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সরকার পে-রোল ডেটাই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেছে। 


    কর্মী পিএফে নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তির অর্থ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মাস বেতনে যোগ দিয়েছেন নয়া কর্মচারীরা। এই পে-রোল ডেটা বরাবরই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি প্রমাণের অন্যতম হাতিয়ার। এদিনের রিপোর্টে ইপিএফও জানিয়েছে, গত নভেম্বর মাসের নিরিখে সারা দেশে কর্মী পিএফের আওতায় এসেছেন ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার নতুন গ্রাহক। গত অক্টোবরের তুলনায় তা ১৬.৫৮ শতাংশ বেশি। 


    একইসঙ্গে ইপিএফও দাবি করেছে, শুধুই এক মাসের হিসেবে নয়। এক বছরের নিরিখেও এই হার বহুগুণ বেশি। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ইপিএফের আওতায় এসেছেন ১৮.৮০ শতাংশ নতুন গ্রাহক। এরই পাশাপাশি কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন জানিয়েছে, যত নতুন গ্রাহক অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় পাঁচ লক্ষই ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী। অর্থাৎ, শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের চাকরি পেতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। নির্বাচনী আবহে এই তত্ত্বই প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া মোদি সরকার।
  • Link to this news (বর্তমান)