সংবাদদাতা, বাগডোগরা: জন বারলার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তিনি বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও হয়নি। মনস্থির করে ফেললেও ওদিক থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই কি ঘোষণা করবেন দলবদলের কথা? প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ডুয়ার্সের চা বলয়ের নেতা জন বারলার কিছু উক্তি সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আজ কালচিনিতে মমতার সভায় যাচ্ছেন তিনি। বুধবার নিজের বাড়ি ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে যাওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সাংবদিকদের মুখোমুখি হন বারলা। আজ, বৃহস্পতিবার সুভাষিণী চা বাগানে রাজ্য সরকারের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন তিনি। মঞ্চে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত বৃহস্পতিবারের সভার দিকেই তাকিয়ে ডুয়ার্সের রাজনৈতিক মহল। বারলা এদিন বলেন,তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। আমি চা শ্রমিকদের নেতা। দিল্লির সরকার চা শ্রমিক ও আদিবাসীদের অবহেলা করছে। বিজেপিতে চা শ্রমিকদের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। কিন্তু সেভাবে সম্মান পাইনি কোনওদিন। চা শ্রমিকদের জন্য তেমন কোনও প্রকল্পও ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। একের পর এক বাগান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এলাকায় বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছি। বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পও দিল্লি থেকে নিয়ে এসেছিলাম। তবে আমাদের দলের একাংশই সেই কাজ আটকে দিয়েছে। আদিবাসী সমাজকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। পদে পদে বঞ্চনা করা হচ্ছে। স্রেফ দর্শক হয়ে এই অবহেলা দেখতে পারব না।
তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকেই কি মমতার সভায় যাচ্ছেন? সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নের উত্তরে বারলা বলেন, আগামী দিনে সবটাই বুঝতে পারবেন। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে দিল্লি গিয়েছিলাম। বুধবার ফিরে এলাম। রাজ্যসরকার আমন্ত্রণ করেছে। সরকারি আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাব। সেজন্যই দিল্লি থেকে এসেছি। তারপর কী হয় দেখা যাক। এদিকে, আলিপুরদয়ার তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক বলেন, সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য প্রশাসন থেকে বারলাকেচ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে প্রাক্তন ওই কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি জানা নেই।