• ভারত-বিরোধিতার ব্লু-প্রিন্ট, নেপথ্যে আইএসআই,  বাংলাদেশের যুব সমাজকে সামরিক ট্রেনিং!
    বর্তমান | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজন্ম শত্রুতা রাতারাতি বদলে গিয়েছে ভাই-ভাই সম্পর্কে। সৌজন্যে ভারত বিরোধিতা! তারই সুবাদে গত আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান যেভাবে অধিকৃত কাশ্মীরের যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণের নামে জেহাদি বানিয়েছিল, সেই পথেই হাঁটতে শুরু করল মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশ। পাকিস্তানি সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সেই প্রশিক্ষণই পরবর্তীতে তৈরি করেছিল জয়েশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তোইবার মতো জঙ্গিগোষ্ঠী। এবার বাংলাদেশ সেনার প্রশিক্ষণ শেষে নতুন কোন ভারত বিরোধী সংগঠন গজিয়ে ওঠে, তা নিয়েই চিন্তিত এপারের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলি। বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায়কে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ‘পরামর্শ’ যে আইএসআই দিয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত তারা। সূত্রের খবর, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের সময় থেকেই ভারত বিরোধিতায় ‘অপারেশন টোপাজ’ পরিকল্পনা করেছিল আইএসআই। হাসিনা-উত্তর পর্বে ঢাকা সহ গোটা বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চারণভূমি। পুরনো সেই পরিকল্পনা এখন রূপায়িত করতে আইএসআই বাংলাদেশি যুবসমাজকে অস্ত্র প্রশিক্ষণের ছক সাজিয়ে দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে হিজবুত তেহরির (হাট) ও আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর ক্যাডাররাও যে প্রশিক্ষণ নেবে, সে তথ্যও এসেছে এপারে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, পাক সেনার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামসাদ মির্জা এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলমের মধ্যে এব্যাপারে কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাওয়ালপিন্ডিতে গিয়ে পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন বাংলাদেশের সেনা কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামারুদ্দিন হাসান। ঠিক হয়েছে, পাকিস্তানি সেনার স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের (এসএসজি) অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে উপস্থিত থাকবে।   


    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ‘যুব সমাজের আত্মরক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ পর্বকে সরকারি প্রকল্পের আকার দিয়েছে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জুলাই-আগস্ট, ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে যুব সমাজ দেশমাতৃকা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখন বিশেষ পরিস্থিতিতে তারা আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে। তাই এই অস্ত্রচালনা প্রশিক্ষণ।’ পদ্মাপারে শিবিরগুলি পরিচালনা করবে সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাই মন্ত্রকের তরফে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বাংলাদেশ সেনার আর্মস উইংয়ের কাছে চিঠি লিখেছেন রিসার্চ ডিরেক্টর মেজর ইশতিয়াক আহমেদ। জানতে চাওয়া হয়েছে, যুব সম্প্রদায়কে এই সরকারি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে কী কী আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে?


    বাংলাদেশ সেনায় এখন পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত শীর্ষ আধিকারিকের সংখ্যা নগণ্য। এখন সেনার সিংহভাগ কর্তাই ভারতের বিভিন্ন সেনা আকাদেমি থেকে প্রশিক্ষিত। আইএসআইয়ের আপত্তিতে বর্তমানে তা বাতিল করেছে ইউনুস সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে আসছে পাক সেনা।
  • Link to this news (বর্তমান)