• ব্যান্ডেলে মধ্যযুগীয় মূর্তি উদ্ধার স্কুলের জমি থেকে
    বর্তমান | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: মধ্যযুগীয় শিল্পকলার নিদর্শন পাওয়া গেল ব্যান্ডেলের একটি স্কুলের জমিতে। প্রায় বিষ্ণুমূর্তির মতো দেখতে একটি বালি পাথরের ছোট আকারের ভাস্কর্য বুধবার আচমকাই পাওয়া যায়। ব্যান্ডেলের বিক্রমনগর হরনাথ নীরদাসুন্দরী ঘোষ স্কুলে বর্তমানে সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ চলছে। সেখান থেকে তোলা মাটিতেই বুধবার স্কুলের দুই ছাত্রী জ্যোতি মণ্ডল ও মোহিনী সরকার ওই মূর্তিটি দেখতে পায়। তারপরেই স্কুলজুড়ে হইহই পড়ে যায়। প্রধান শিক্ষক সৈকত দাস বিষয়টি দ্রুত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে (এএসআই) জানান। পরে সেখান থেকে সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (কলকাতা) সঞ্জয় পান্ডা এসে মূর্তিটি নিয়ে যান। এএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বালি পাথরের ওই মূর্তিটি প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার লম্বা ও চওড়ায় প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটার। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ভারতের মধ্যযুগে ওই মূর্তিটি তৈরি হয়েছিল। একাদশ বা দ্বাদশ শতাব্দীর ভারতে ওই ধরনের মূর্তি তৈরির চল ছিল। মূর্তিটি একজন পুরুষের। সেটির মাথায় মুকুট আছে। দুই হাতবিশিষ্ট মূর্তিটির নানাস্থানে ভাঙা আছে। ওই ধরনের মূর্তি সাধারণত বিষ্ণুমূর্তি বলে ধরে নেওয়া হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ওই রকমের মূর্তি অতীতে বেশকিছু পাওয়া গিয়েছে। যদিও এএসআই কর্তা বলেন, মূর্তিটি কার এবং তার সময়কাল নির্ধারণ করতে হবে। এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। তবে দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মূর্তি বলে একটি প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আমরা সবটাই খতিয়ে দেখছি। তাঁর দাবি, হুগলি গঙ্গা অববাহিকায় অবস্থিত। গঙ্গা অববাহিকা থেকেই বালি পাথরের মূর্তি পাওয়া যায়। মূর্তিটি সাবেক হুগলিতে তৈরিও হতে পারে, আবার বাইরে থেকে আনাও হতে পারে। সেই ইতিহাস জানতে সময় লাগবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)