কলকাতায় ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিদেশিদের ফেলা হতো প্রতারণার ফাঁদে। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সল্টলেক, তপসিয়া, বাগুইআটি, হাওড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। অভিযোগ, ভুয়ো কল সেন্টার খুলে ৩০ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। আর এই ধরনের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে ইডি। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ১০ জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
রাজ্য থেকে কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা চালানো হচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। বিদেশি নাগরিকদের সফ্টওয়্যার পরিষেবা দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত এই প্রতারকরা। তারপর তা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে পাচার করা হতো, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এমনটাই। চক্রের মূল মাথাকে খুঁজে পেতেই এই ম্যারাথন তল্লাশি বলে ইডি সূত্রে খবর।
বাগুইআটির আটঘরা অঞ্চলে ব্যবসায়ী রাজেশ গোয়েঙ্কার ফ্ল্যাটে ইডি অভিযান চালায় বৃহস্পতিবার সাতসকালে। বাড়ির পাশাপাশি তাঁর সল্টলেকের অফিসেও চলছে তল্লাশি। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ইডি স্ক্যানারে এসেছেন এই রাজেশ গোয়েঙ্কা, সূত্রের খবর এমনটাই।
কী ভাবে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হতো? এই ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গত কয়েকমাস ধরেই এই ঘটনার তদন্ত করছে ইডি। এই চক্রের জাল অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে এক স্টিল কোম্পানির বিরুদ্ধে ৬ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি।