• মাঠে এসেছিলেন স্বয়ং নেতাজি, সেই স্মৃতিতে মিউজ়িয়াম তৈরির উদ্যোগ
    এই সময় | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, কালনা: স্বাধীনতা আন্দোলনে তখন সরগরম বাংলা। ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে সে সময়ে বেশ কিছু মঠ ও আশ্রম হয়ে উঠেছিল বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আস্তানা। তেমনই একটি ঘাঁটি ছিল কালনা শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন জ্ঞানানন্দ মঠ। চারপাশ জঙ্গলে ঘেরা এই মঠেই আন্দোলনের কৌশল ঠিক করতেন কালনা ও সংলগ্ন এলাকার বিপ্লবীরা।

    এই মঠে বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে এসে দু’দিন কাটিয়ে গিয়েছেন স্বয়ং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

    আজও নেতাজির ব্যবহার করা চেয়ার, খাট, ডাইনিং টেবিল সযত্নে রাখা রয়েছে মঠে। প্রতিদিন নিজের হাতে সেই সমস্ত জিনিসপত্র পরিষ্কার করার পাশাপাশি নেতাজির মূর্তিতে ফুল দিয়ে পুজো করেন মঠের অধ্যক্ষ স্বামী নিত্য প্রেমানন্দ অবধূত।

    তিনি বলেন, ‘মঠের প্রতিষ্ঠাতা নিত্য গৌরবানন্দের সঙ্গে মাস্টারদা সূর্য সেন, গণেশ ঘোষের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্রেই ১৯৩০ সালে মঠে এসেছিলেন নেতাজি।’

    নেতাজির ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস এবং বিপ্লবীদের ছবি ও তথ্য দিয়ে সাজিয়ে মিউজ়িয়াম গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন মঠের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘স্নাতক পাশ করার পর মঠের প্রতিষ্ঠাতা নিত্য গৌরবানন্দ অবধূতের কথা জানতে পারি। ১৩৩০ বঙ্গাব্দে মঠের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

    কালনা ও সংলগ্ন এলাকায় স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন নিত্য গৌরবানন্দ। সে সময়ে তিনি কালনায় কংগ্রেস দলের সভাপতিও ছিলেন। আধ্যাত্মিক চেতনার পাশাপাশি তাঁর এই বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়।

    তার পর থেকে এই মঠের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পর মঠের অধ্যক্ষ হয়ে অমূল্য নানা নথি জোগাড়ে সচেষ্ট হই। এখন সে সব দিয়েই মিউজ়িয়াম গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে বর্তমান প্রজন্মও নেতাজি ও তাঁর সমসাময়িক বিপ্লবীদের অনেক তথ্য পাবে।’

  • Link to this news (এই সময়)