• কলকাতার পর বিধাননগর! হেলে পড়ছে একের পর এক বহুতল, কী বলছেন কাউন্সিলাররা?
    এই সময় | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • পানিহাটি, কামারহাটির পর এ বার বিধাননগর। হেলে পড়ল একাধিক বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ি। দ্রুত বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত দুটি বহুতল বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে পুর এলাকায়।

    বিধাননগর পুরসভার দক্ষিণ নারায়ণপুরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের একটি পাঁচ তলা আবাসন হেলে পড়ার অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বহুতলটি দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি, গোটা বিল্ডিংটি অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে। বহুতল নির্মাণের সময়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বিল্ডিংটি হেলে পড়েছে বলেই অনুমান তাঁদের।

    হেলে পড়া এই বিল্ডিং ঘিরেই এখন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে আশেপাশের বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা চাইছেন প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করুক। তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আরাত্রিকা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগেই বিধাননগর পুরসভাকে চিঠি করেছি। ওই বহুতলে বেশ কয়েকজন নার্স থাকেন। তাঁদের অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।’ বহুতলটি ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।

    অন্যদিকে, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের জগৎপুরে একটি হেলে পড়তে শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুকুর বুজিয়ে বহুতলটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বহুতলের বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বহুতলটি। প্রাণহানিও ঘটতে পারে।

    স্থানীয় কাউন্সিলার ঝুঙ্কু মণ্ডল বলেন, ‘পুরসভাকে আমি চিঠি দিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।’ তাঁর আমলে এই বাড়ি নির্মাণ হয়নি বলেই দাবি কাউন্সিলরের। বিষয়টি নিয়ে রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিপজ্জনক বহুতল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে।’ একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় পুরসভার দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটাই তো এগিয়ে বাংলা। দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, বরাহনগর, সব জায়গায় যেখানে ৫ তলা বাড়ি হয় না, ৮ তলা বাড়ির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় কাউন্সিলাররা রফা করেছেন।’

  • Link to this news (এই সময়)