আজকাল ওয়েবডেস্ক: উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে নেতাজী জন্মজয়ন্তী পালনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান মঞ্চে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের মাধ্যমে বক্তব্য শুরু করেন মমতা। শুরুতেই বলে দিলেন, ‘পাহাড়ে এবং রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নেতাজির জন্মজয়ন্তী আগে পালন করেছি। তরাই ডুয়ার্সে এই প্রথমবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এত বড় করে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করা হল স্মরণীয় করে রাখতে।’
তিনি আরও বলেন ‘দেশে যখন স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল। তখন আন্দামানে সেলুলার জেলে গিয়েছিলাম। যেখানে অধিকাংশ স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঙালি এবং পাঞ্জাবি ছিলেন। আন্দামানের পাশাপাশি ডুয়ার্সের এই আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সাতে স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের রাখা হয়েছিল। আর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আমাদের শিক্ষা ও দীক্ষা দিয়েছিলেন। ভারতের প্রথম সেনাবাহিনী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি তৈরি করেছিলেন নেতাজি। ভগৎ সিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রদেশের ব্যক্তিত্ব এই স্বাধীনতার লড়াইয়ে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আক্ষেপ সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন জানি, মৃত্যুদিন জানি না। তিনি চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন। নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের যে ৬৪টি ফাইল রয়েছে তা সাধারণের দেখার জন্য রেখেছি।’ জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহকুমার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘ধুপগুড়ির বিধায়ক হিসেবে নির্মল চন্দ্র রায়ের জয়ের পর ধুপগুড়িতে সাব ডিভিশন এবং সাব ডিভিশন হাসপাতালের যে দাবি ছিল তা পূরণ করা হয়েছে। কিছু ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের বিষয় রয়েছে সেগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে।’
চা বলয়ের মানুষ সহ বাংলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের সরকারি প্রকল্পের বাড়ির বিষয়ে তিনি বলেন ‘কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। কিন্তু লড়াই করে যাচ্ছি। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বাংলায় বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে চা শ্রমিকরা পাট্টা পাচ্ছেন। পাট্টার পর এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে ঘর তৈরির জন্য পাবেন।’ তিনি সভামঞ্চ থেকেই মাদারিহাট বিধানসভা ক্ষেত্রে জয়প্রকাশ টোপ্পোর জয়ের বিষয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাধারণের উদ্দেশ্যে। এছাড়াও পানীয় জল প্রকল্প, চা বাগান খোলা বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন। জানান, ‘যে সমস্ত চা বাগান কেন্দ্রীয় সরকার খোলেনি সেগুলো রাজ্য সরকার খুলেছে। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি দুয়ারে সরকার শিবির চলবে। সেই দুয়ারে সরকারের আবেদন ২৮ তারিখের মধ্যে যতটা পারবো দিয়ে দেব। চা শ্রমিকদের জমি কেউ নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সেই বিষয়ে তারা সরাসরি দুয়ারে সরকারে অভিযোগ জানাতে পারবেন।’ এরপরেই জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে মুখ্যমন্ত্রী সভামঞ্চ থেকে নামেন। তবে জন বার্লার সঙ্গে কথা নিয়ে মুখ খোলেননি মমতা।