বাঘাযতীন, ট্যাংরার পর এবার বিধাননগরের বাগুইআটি। নতুন করে আরও দুটি বহুতল হেলে পড়ল। ইতিমধ্যেই পুরসভাতে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুরে একটি বহুতল হেলে পড়ে। এর পরেই খবর আসে বাগুইআটির জগৎপুরের নেতাজিপল্লিতে আরও দুটি বহুতল হেলে পড়েছে। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
বিধাননগর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝিনুক মণ্ডল বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা জানিয়ে বিধাননগর পুরনিগমে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও তাঁর দাবি, তাঁর আমলে এসব বাড়ি তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, কড়া পদক্ষেপ করব। অনুমতি ছাড়া কাউকেই কোনও বিল্ডিং নির্মাণ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে কারও ব্যক্তিগত বাড়িতে আমরা হাত দিতে পারি না। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আগের তৃণমূল কাউন্সিলর আশা নন্দী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুর বুজিয়ে এই বহুতলগুলি তৈরি করা হয়েছে। মাটি বসে গিয়ে একে অপরের গায়ে হেলে পড়ছে। বাড়ির মালিক যদিও এনিয়ে কোনও টুঁ শব্দ করেননি।
বুধবার ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি বহুতল বাড়ি। এই বাড়িটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করেছে কলকাতা পুরসভা। বাসিন্দাদের বাড়ি খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাঘাযতীনে দুসপ্তাহ আগেই হেলে পড়েছিল একটি ফ্ল্যাট। সেই ফ্ল্যাট ভাঙার কাজ এখনও চলছে। তারই মধ্যে আসে ট্যাংরার এই খবর।
বাসিন্দাদের নজরে পড়ে বাড়িটি হেলে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে হঠাত্ স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে পড়ে বাড়িটি ক্রমেই হেলে যাচ্ছে। ওই বাড়িটি এখনও নির্মীয়মাণ। ভিতরের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। অভিযোগ, গোটা বাড়িটিই নাকি বেআইনি। এদিকে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দাবি, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কাউন্সিলর সন্দীপন সাহার কথায়, 'স্থানীয় সূত্রে খবর আসে বিল্ডিংটি হেলে গিয়েছে। আমি বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টকে জানাই বিষয়টি। তারা স্পটে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য যা যা করার আমরা করছি।'
কলকাতায় একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় প্রোমোটাররা সতর্ক হচ্ছেন না বলেই অভিযোগ অনেকের। দু’পয়সা লাভের জন্য এই সব সস্তার কাজ করছেন তাঁরা।