বিশ্বজিত্ মিত্র: শীতের মরশুমে লংকা চা-এ চুমুক দিলেই মিলবে উষ্ণতার পরশ। মাত্র কয়েক দিনের দোকান তাতেই রীতিমতো ভাইরাল শান্তিপুরের এই চা ব্যবসায়ী। বাঙালি চিরকালের চা-প্রেমী। আর এই শীতকালে তো চা আরও বেশি জরুরি। শরীর-মন তরতাজা রাখতে চায়ের কোনও বিকল্প নেই। শীতে চায়ের মৌতাত আরও বেশি করে আকর্ষণ করে। এখন তো বাজারে বেরোলেই ঝাঁ চকচকে দোকানে হরেক রকমের চায়ের সমাহার দেখা যায়, তন্দুরি চা থেকে শুরু করে কেশর চা, আদা চা, গোলমরিচ চা, মশলা চা আরও কত কি... কিন্তু লঙ্কা চা! এই লঙ্কা চা কখনো খেয়েছেন কি?
ছোট্ট এক চিলতে ঘরেই সন্ধ্যা হলেই ভিড় জমে চা প্রেমীদের। শরীরে উষ্ণতার পরশ পেতে দুবেলায় চায়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন চা খেতে। বর্তমানে শীতের মরসুমে অনেকেরই ঠান্ডা লাগা বা সর্দি মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে , আর এর থেকে একটু উষ্ণতা পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে চুমুক দিচ্ছেন লঙ্কা চায়ের কাপে। এই চা- এর সঙ্গে গরম গরম পকোড়ার অপূর্ব স্বাদ। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় এই চা-পকোড়ার কোনও বিকল্প নেই। বিশেষত এই শীতের দিনের সন্ধ্যায় কোনও আড্ডায় এই চায়ে চুমুক দিলে আপনার মুড এক নিমেষে ঠিক করে দেবে।
ছোট্ট চায়ের দোকান আর সেখানেই চা বানিয়ে চমক দিলেন শান্তিপুরের KC দাস রোডের গোভাগার এলাকার এক যুবক। পেশায় এই যুবক একটি প্রাইভেট জব করতেন কিন্তু সেখানে ঠিকঠাক বেতন মিলছিলো না। তাই জব ছেড়ে শান্তিপুর কে সি দাস রোডে বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকান খুলে বসলেন। আর তাতেই সকাল বিকাল দুই বেলা করে চা খেতে ভীর জমাচ্ছেন মানুষ। চা বিক্রেতা বিশ্বজিৎ দাস বলেন, 'আমার এই দোকানের বয়স মাত্র ১৮ দিন , আমি অনেক জায়গায় চা খেয়েছি কিন্তু ইউনিক কিছু দেখিনি তাই প্রথম থেকেই ভেবেছিলাম ইউনিক কিছু করবো। যেমন ভাবা তেমন কাজ আর তাতেই লক্ষী লাভের মুখ দেখছি।'