গত কয়েকমাস ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এপার বাংলায় ঘটেছে একাধিক অনুপ্রবেশ। শুধু ওপার বাংলার নাগরিক বা চোরা পাচারকারিরা নয়, জঙ্গিরাও কাঁটাতার পারের চেষ্টা করবে বলে শঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গল ও গাছের অতিরিক্ত বড় ডালগুলি সমস্যা তৈরি করছে। আগে গ্রামবাসীদের গাছ কাটার কথা বলা হলেও তা শোনেননি। বর্তমানের জটিল পরিস্থিতিতে রানাঘাট ফরেস্ট রেঞ্জের আধিকারিককে নিয়ে বৈঠক করা হয়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার জন্য বিএসফকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তাঁরা।
বাংলাদেশের পালা বদলের পর জঙ্গি সংগঠন সংক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারতের মাটি ব্যবহার করে নাশকতার ছক চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছে অনেকে। সীমান্ত কাঁটাতার লাগানো নিয়ে মালদহ, কোচবিহারের সীমান্ত উত্তপ্ত। এই আবহে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে নারাজ গেদে সীমান্তের ব্যাটালিয়ন।
বৈঠকের পর রানাঘাট ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, “বিএসএফের তরফে আমাকে আসতে অনুরোধ করা হয়। সীমান্তে বড় গাছগুলির ডালপালা ও কিছু আগাছা জাতীয় গাছের জন্য বিএসএফের জওয়ানরা নজরদারির সময় অসুবিধার মুখে পড়ছেন। আমাকে অনুরোধ করা হয়েছিল সেই সমস্যা গ্রামবাসীদের বোঝাতে। বাসিন্দাদের সেগুলি কেটে নিতে অনুরোধ করেছি। তাঁরা গাছপালা কেটে সরিয়ে দেবে বলে কথা দিয়েছে।” স্থানীয় এক বাসিন্দা দিনবন্ধু মহলদার বলেন, “গ্রামবাসী, জনপ্রতিনিধি, ফরেস্ট রেঞ্জের অফিসারদে নিয়ে বিএসফের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ১৯৭১ সালের মতো কঠিন সমস্যা এসেছে আমাদের সামনে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বিএসএফকে সাহায্য করা উচিত।”