লক্ষ্য ২০২৬ নির্বাচন, সংগঠনে মহিলা মুখ বাড়িয়ে নারী নির্যাতনকে প্রচারে আনছে BJP
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পকে অনুকরণ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে নানা নামে প্রকল্প আনা হয়েছে। তাতে বিজেপির সাফল্যও এসেছে। কিন্তু এই রাজ্যে বিজেপি কিছুই চালু করেনি। উলটে একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা, স্বাস্থ্য মিশন–সহ নানা প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পকে ভিক্ষার দান বলেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু ২০২৬ সালে বিধানসভার নির্বাচনে সাফল্য পেতে বিজেপি বাংলায় নারী নির্যাতনকে সামনে নিয়ে এসে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে কি লাভ হবে? উঠছে প্রশ্ন।
নারী নির্যাতন ইস্যুকে প্রচারের আলোয় নিয়ে এসে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঝাঁপাতে চাইছে বিজেপি। আর তাই বঙ্গ–বিজেপিতে মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। সংগঠনকে সেভাবেই সাজাতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। যদিও এখনও বিজেপির কাছে কোনও মুখ্যমন্ত্রী মুখ নেই। বলা যেতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মুখ নেই বিজেপির কাছে। তাই বাংলাদেশ ইস্যু দেখিয়ে হিন্দুত্ব, মেদিনীপুরের প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা প্রচারে এনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়া এবং আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ইস্যুকে সামনে রাখতে চাইছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্ত্র শুধুই উন্নয়ন।
রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিরোধী দল বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্বে মহিলা মুখ কাকে আনা যায় সেটা নিয়েই এখন চর্চা চলছে। তার সঙ্গে সংগঠনে মহিলা মুখ আনতে চায় বিজেপি। কিন্তু তেমন চূড়ান্ত কারও নাম হয়নি এখনও। বরং ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র সুবিধাভোগী গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেটা দমাতে পাল্টা প্রচার এবং সর্বত্র মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনাও কাজে আসেনি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে সভা করে মহিলাদের উন্নয়নে কাজের পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। পরের দিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেখানে নারী নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। এখন এই পদ্ধতিতেই প্রচার চলবে বলে সূত্রের খবর।
বিজেপি সূত্রে খবর, নিচুতলায় মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে প্রত্যেকটি মণ্ডলে একজন মহিলা সদস্য রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবার প্রত্যেকটি বিধানসভার অন্তত একটি মণ্ডল সভাপতিকে মহিলা হতেই হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বে মহিলা মুখ নিয়ে আসার সম্ভাবনাও আছে। তবে রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল চাইছেন না সভাপতি পদে বদল হোক। আর সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এমন কোনও নির্দেশ বা কোনও ইঙ্গিত আমি শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পাইনি। আমার কোনও পছন্দ–অপছন্দ নেই। দল আমায় বুথ সভাপতি হয়ে কাজ করতে বললে তাই করব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে বললে তাই হবো।’