পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বালি ব্রিজের মেরামতির কাজ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যাত্রী ভোগান্তির চিত্র সামনে এসেছিল। পরে যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বালিহল্ট স্টেশনের কাছে নিবেদিতা সেতুর টোলপ্লাজার রাস্তার ধারের পাঁচিলের কিছুটা অংশ ভেঙে বালিহল্ট স্টেশনের কাছেই যাত্রীদের বাস থেকে ওঠা নামার ব্যবস্থা করা হয়।
সংস্কারের জন্য ১০০ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বালি ব্রিজ বা বিবেকানন্দ সেতু, তা আগেই জানানো হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, ২২ জানুয়ারি, রাত ১২টার পর থেকে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি ভোর থেকেই যান চলাচল বন্ধ হবে বিবেকানন্দ সেতুতে। ২৭ জানুয়ারি ভোর চারটে পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে। সেতু লাগোয়া বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েও ২৩ জানুয়ারি রাত ৮টা থেকে ২৪ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। ২৫ জানুয়ারি রাত ১০টা থেকে ২৬ জানুয়ারি সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক লাগোয়া পিডব্লিউডি রোডের একাংশ ও সংলগ্ন আর কে পি দেব রোড। বিবেকানন্দ সেতুর সংস্কারের জন্য এই পদক্ষেপ। রেল রাজ্যকে জানিয়েছিল, বালি ব্রিজের বদলে বাস ও অন্য গাড়ি নিবেদিতা সেতু ব্যবহার করতে পারে। এ জন্য অতিরিক্ত টোল দিতে হবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় নিবেদিতা সেতু দিয়ে ডানকুনি ও সলপগামী বাস ধরার জন্য যাঁরা বালি হল্টে নেমে মেন লাইনের ট্রেন ধরেন বা মেন লাইনের নানা জায়গা থেকে ট্রেনে বালি মেন স্টেশনে এসে বালি হল্টে পৌঁছে বাস ধরেন, তাঁদের বিস্তর বিপাকে পড়তে হয়। কারণ বাস তাঁদের নিবেদিতা টোলপ্লাজা ছাড়িয়ে আরও প্রায় ১ থেকে দেড় কিমি দূরে রাজচন্দ্রপুরের কাছে নামাচ্ছিল। পরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে নীচে আসার পর তাঁদের বালি মেন স্টেশনে যাওয়ার রাস্তা ধরতে হচ্ছিল। আর এর ফলেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা।
এরপরেই এই ভোগান্তি মেটানোর জন্য পুলিশ বালি হল্ট স্টেশনের কাছে নিবেদিতা সেতুর টোলওয়ের রাস্তার ধারের পাঁচিল কিছুটা ভেঙে বালিহল্ট স্টেশনের কাছেই যাত্রীদের বাস থেকে ওঠা নামার ব্যবস্থা করে দেয়। এর ফলে আপাতত যাত্রীদের সমস্য়ার সমাধান হয়। পাশাপাশি বালি ব্রিজের বালি থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী পথে যান চলাচল এখনও স্বাভাবিক। বাস, ট্যাক্সি, বেসরকারি গাড়ি, অটো, দু'চাকার গাড়ি যাচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে। উল্টোদিকে, দক্ষিণেশ্বর থেকে বালিগামী রাস্তায় কেবলমাত্র দু'চাকা এবং তিন চাকার গাড়ি চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
তবে প্রশাসনের তরফে সম্ভাব্য অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ফলে এখন যান চলাচলের ক্ষেত্রে বড় কোনও সমস্যা নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পরিবহণ দপ্তরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল,২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বালি ব্রিজ দিয়ে মোটরবাইক, টোটো, অটো চলাচল করতে পারবে।
(তথ্য ও ছবি-সৌমিত্র ঘোষ)