বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক এসে জড়ো হতো বাড়িতে। তাঁর অধীনে ছিল ১৫ জন ‘প্যাডলার’ (পাচারকারী)। মোটা টাকা কমিশনের ভিত্তিতে তাঁদের হাত দিয়ে ‘মাদক’ পৌঁছে যেত নির্দিষ্ট ঠিকানায়। ঘরে বসেই মাদক পাচারের জাল বিস্তৃত করেছিলেন তিনি। মাদক পাচার চক্রের অন্যতম ‘মাথা’-কে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি (নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো)। ধৃতের নাম জয়ন্ত দাস ওরফে বাংরু (৪২)। ধৃতকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করে চার দিনের হেফাজতে নিয়েছে এনসিবি।
বুধবার বিকেলে খড়িবাড়ির গৌরসিং এলাকায় নিজের বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে ৪০০ গ্রামের বেশি ‘ব্রাউন সুগার’ সমেত পুলিশ খড়িবাড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই মামলায় পুলিশের থেকে তদন্ত ভার যায় এনসিবির হাতে। সেইমতো এনসিবির আধিকারিকেরা তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের মাঝেই এনসিবির নজরে আসে এই জয়ন্ত দাস।
এনসিবির আইনজীবী রতন বণিকের বক্তব্য, ‘ ওই মাদক মামলায় আন্তর্জাতিক যোগ থাকতে পারে। তাই এনসিবি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষ।’ জয়ন্ত’র সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের কারও যোগসূত্র আছে কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত করছে এনসিবি। জয়ন্ত’র বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নেপাল সীমান্ত লাগোয়া পানিট্যাঙ্কি, খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি এলাকায় মাদক পাচারের রমরমা বেড়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে পাচারকারীরা। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে গ্রামীণ মহিলাদেরও পাচারের কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে শুক্রবারই শিলিগুড়িতে তিন মহিলা-সহ ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় প্রায় দেড় কোটি টাকার মাদক।