• চাকু বা ছুরি দিয়ে কেটে তুলতে হয় এই বিশেষ দই, জনপ্রিয়তাও আকাশছোঁয়া ...
    আজকাল | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: জায়গাটা বিখ্যাত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান হিসেবে। কিন্তু এই জায়গার আরও একটি পরিচিতি আছে। লাল দই-এর জন্মস্থান হিসেবে। মতবাদ অনুযায়ী এই বিশেষ দই প্রস্তুত করেছিলেন নবদ্বীপের বিখ্যাত মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক কালিপদ মোদক। আনুমানিক ১৯৩০ সালে। যা আজ নবদ্বীপের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়। খাদ্য মেলা বা অন্যান্য বিভিন্ন মেলাতেও এই দই-এর দোকান সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। 

    স্বাদ অবশ্যই আলাদা এবং তার থেকেও আরও যে একটি বিষয় এই দই-এর সঙ্গে জড়িত সেটি হল এর ঘনত্ব। যার জন্য এই দই'কে অনেকেই চাক্কু দই বা ছুরি দই নামেও ডাকেন। ঘন জমাট বাঁধা এই দই ছুরি দিয়ে কেটেও তোলা হয়। যদিও এই নাম স্থানীয়ভাবেই ব্যবহার করা হয়। বাইরের জগতে এই দই লাল দই হিসেবেই জনপ্রিয়। ঘন জমাট এই দই কিন্তু মুখে তুললেই ধীরে ধীরে গলে যেতে শুরু করে। মিষ্টি স্বাদটা ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুখ জুড়ে। 

    কিন্তু কীভাবে তৈরি হয় এই দই? নবদ্বীপের অন্যতম প্রসিদ্ধ দই প্রস্তুতকারক বিপ্লব দাস বলেন, 'মোষের দুধ কাঠের জ্বালে ছয় থেকে সাত ঘন্টা ফুটিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি দিয়ে দুধকে ঘন করে ক্ষীরের আকার দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে যেখানে আগুন জ্বলবে তার চারপাশে মাটির ভাঁড় সাজিয়ে প্রস্তুত করা হয় লাল দই। কারিগরের মুন্সিয়ানায় কোনও কৃত্রিম রঙ ছাড়াই প্রস্তুত করা হয় এই লাল দই।' বিষয়টি এমন যে পরিবারের বাইরে কাউকেই এই দই তৈরির গোপন পদ্ধতি ফাঁস করা হয় না। তাই যিনি এই দই প্রস্তুত করেন তিনি তাঁর পরিবারের কাছেই এই বিশেষ পদ্ধতি তুলে ধরেন। 

    তবে সাধারণ দইয়ের থেকে এই দই তৈরির জন্য অনেকটাই সময় লাগে এবং খাটুনিও যথেষ্টই। কিন্তু এই মুহূর্তে এতটাই জনপ্রিয় এই লাল দই যে সেটা জেনেও কারিগররা এই বিশেষ মিষ্টি তৈরিতে সময় দেন। তবে জ্বালানি এবং দুধের খরচ বেড়ে যাওয়াতে দামের দিক থেকেও বেশ চড়া এই লাল দই।

     
  • Link to this news (আজকাল)