• কুমড়োর ওজন ২০ কেজি, হাতখানেক লম্বা লাউ, দেড় কেজির বেগুন, মেলায় পুরস্কার দেওয়া হয় সেরা ফসলকে...
    আজকাল | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি কুমড়োর ওজন কুড়ি কেজির বেশি। বেগুনের ওজন দেড় কেজির বেশি। 'সাধের' লাউ? তাও হাতখানেকের কম নয়। এই ধরনের সব্জি নিয়ে কৃষকরা হাজির পূর্ব বর্ধমানের নবদ্বীপ লাগোয়া পূর্বস্থলির শ্রীরামপুরে। আড়াই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের তিনটি বিশালকায় মাঠে চারটি মঞ্চ নিয়ে এই মেলা চলছে। বাংলার কৃষি আর লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে এই মেলায়। ২৫ বছরে পা দেওয়া এই মেলা আরও বড় হয়ে উঠেছে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে। ২০০০ সালে তাঁর উদ্যোগেই শুরু হয়েছিল এই মেলা।

    মেলায় মূলত অংশগ্রহণ করেন কৃষিজীবীরা। নিয়ে আসেন তাঁদের পরিশ্রমের সেরা ফসল। মেলার একটি মাঠে পেল্লাই স্টল। সেই স্টলে রয়েছে পেল্লাই সাইজের মুলো, বিট, গাজর, সতেজ পেঁয়াজ, শাকালু, বিনস, টমেটো, লেটুস শাক এবং নানা শাকসব্জি। ফলের মধ্যে রয়েছে শশা, পেয়ারা, ড্রাগন ফল, বাতাবিলেবু-সহ নানা ধরনের লেবু। আছে লেটুস পাতা থেকে মাশরুম। যারা বিকল্প চাষ করেন তাঁরা নিয়ে এসেছেন তাঁদের ফলানো ফসল। এর পাশাপাশি রয়েছে মাছ, মাংস, কোয়েল-সহ নানারকমের খাবার স্টল। 

    মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এই মেলা হল কৃষি, লোকসংস্কৃতি, আদিবাসী সংস্কৃতি ও হস্তশিল্পের। কৃষিতে যে ভাবনার বদল এবং সুযোগ এসেছে সে সম্পর্কে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং অভিজ্ঞতার আদানপ্রদানের হল এই মেলার উদ্দেশ্য। মেলায় সেরা ফসলকে পুরষ্কৃত করা হয়। 

    কৃষকরা যেমন তাঁদের ফসল নিয়ে আসেন তেমনি দু'চোখ ভরে সেই ফসল দেখতে আসেন অনেকেই। নবদ্বীপ, কালনা, কাটোয়া থেকে বহু মানুষ আসেন শুধুই দেখতে। কলকাতা থেকে কীভাবে যাবেন এই মেলায়? হাওড়া-কাটোয়া লাইনের ট্রেন ধরে নবদ্বীপ ধাম স্টেশন। সেখান থেকে টোটো চেপে কাছেই শ্রীরামপুর। মেলা কিন্তু ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
  • Link to this news (আজকাল)