• বোলপুর মহকুমাজুড়ে নির্বিচারে গাছ নিধন, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: বোলপুরে গাছ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত। নানুরের পর এবার ইলামবাজারে। প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার ধারের আম, তাল সহ নানা ধরনের ফলের কয়েকশো গাছ কেটে ফেলল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে একই কায়দায় নানুরের বাহিরী-পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের যদুপুরে কয়েক হাজার গাছ কাটে দুষ্কৃতীরা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ধরনের ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা। বারবার গাছ কাটা হলেও দুর্বৃত্তরা বনদপ্তরের নাগালের বাইরে। এর পিছনে বনদপ্তরের একাংশের মদত রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে প্রতিবছর বেড়েই চলেছে গরম। এমতাবস্থায় বনদপ্তরের কবে টনক নড়ে সেদিকেই নজর সকলের। 


    প্রসঙ্গত, প্রতিবছর বর্ষাকালে বনসৃজন সপ্তাহ পালন করে বনদপ্তর। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে হাজার হাজার গাছ লাগানো হয়। কিন্তু, নজরদারির অভাবে দিনে দুপুরে গাছ কেটে লুঠ ও পাচার চালাচ্ছে কাঠ মাফিয়ার দল। গত ১৯ জানুয়ারি নানুরের যদুপুরের একটি পুকুর পাড়ে মেশিনের সাহায্যে কয়েকশো গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তের দল। প্রায় ৬০ টন কাঠ কেটে‌ তা ট্রাক্টরে করে পাচার করে কাঠ মাফিয়ারা। যার বাজার মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তারপর ফের বৃহস্পতিবার, ইলামবাজারের রামনগর এলাকায় নির্বিচারে ছোট, বড় নানা ধরনের ফলের গাছ কেটে সাফ করে ফেলল দুষ্কৃতীরা।‌ রাস্তার ধারে এই কার্যকলাপ চললেও বনদপ্তরের কাছে কোনও খবর ছিল না। সংবাদমাধ্যম ঘটনাস্থলে হাজির হতেই নড়েচড়ে বসে বনদপ্তর। ডিএফও রাহুল কুমারের নির্দেশে বোলপুরের রেঞ্জ অফিসার জ্যোতিষ বর্মন বিষয়টিতে নজরদারি শুরু করেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ওই জমিতে গাছ কাটার সম্পূর্ণ অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও সমস্ত গাছ কেটে ফেলেছে বলে জানতে পেরেছি। জমির মালিককে ডেকে এর কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এরপরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)