• রাজ্যের সহায়তায় হচ্ছে বাংলার বাড়ি, দিনহাটায় ব্যাপক চাহিদা ‘মমতা’ ইটের
    বর্তমান | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • রাজীব বর্মন, দেওয়ানহাট: রাজ্য সরকারের দেওয়া আর্থিক সাহায্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পাকা ঘর বানাতে এখন ইটের চাহিদা ব্যাপক গোটা রাজ্যেই। ব্যতিক্রম নয় কোচবিহারে দিনহাটাও। বাড়ি বানাতে বাজারে বিভিন্ন নামের ইটও বিক্রি হচ্ছে দেদার। তবে এরই মাঝে অনেকেই নজর কেড়েছে বিশেষ একটি নামের ইট। ‘মমতা’ ইট। আর এই ‘মমতা’ ইট দিয়েই আবাসের বাড়ি তৈরি করার আগ্রহ অনেকটাই বেশি টাকা পাওয়া উপভক্তাদের মধ্যে। 


    তাঁদের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষের জন্য আবাসের টাকা আটকে রাখলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আবাসের ঘর করার টাকা দিয়েছে রাজ্য। যেহেতু গ্রামের গরিব মানুষের জন্য ঘরের টাকা মমতা নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার দিয়েছে, তাই আবাসের টাকায় কেনা ইটে যদি ‘মমতা’ লেখা নামটা থাকে তাতে মন্দ কি। যাঁর জন্য পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে, তাঁর নামটা ঘরের প্রতিটি ইটেই লেখা থাকুক। 


    বৃহস্পতিবার ‘মমতা’ লেখা ইট কেনেন দিনহাটা-১ ব্লকের পুঁটিমারির কারিশালের বাসিন্দা বছর পঁয়ছট্টির আলেয়া বিবি। তিনি বলেন, মমতা আছে তাই এই বৃদ্ধ বয়সে পাকা ঘর করতে পারছি। না হলে পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হতো না। আবাসের টাকা পেয়ে বাড়ির জরাজীর্ণ টিনের ঘরটি ভেঙে পাকা ঘর বানাতে লোহা, সিমেন্ট, ইট কিনতে দোকানে এসেছিলাম। এখানে দেখি ইটে ‘মমতা’ লেখা। শুনলাম অনেকেই এই ইট দিয়ে বাড়ি করছেন। তাই আমিও এই ইট দিয়েই ঘর বানব। যাঁর জন্যে আবাসের টাকায় পাকা ঘর করতে পারছি, তার নামটা ঘরের প্রতিটি ইটেই রাখতে চাই। এতে মনে শান্তি পাব। 


    দিনহাটার একটি বিল্ডার্সের দোকানের মালিক মহাবুর রহমান মল্লিক বলেন, দু’দিন আগেই ওই ইট দোকানে এনেছি। অনেকে অন্য ইট কিনতে এসে এই ইট কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন সামান্য কিছু আছে। অন্য ইটের তুলনায় দামও কিছুটা কম এই ইটের। এর মানও ভালো। তাছাড়া নামটা দেখে অনেকে অন্য ইট নিতে চাইছেন না। যা চাহিদা আবার নিয়ে আসতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)