• জেলায় ১০৮ কোটিতে ৪৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন
    বর্তমান | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • রবীন রায়, আলিপুরদুয়ার: বৃহস্পতিবার কালচিনির সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ার জেলায় ৪৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। জেলায় নতুন করে ১২টি প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন তিনি। 


    এদিন সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। সেই ভিড় দেখে দৃশ্যতই আপ্লুত দেখাচ্ছিল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আলিপুরদুয়ার জেলায় ৪৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হল। এই কাজগুলি করতে খরচ হয়েছে ১০৮ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এই জেলায় নতুন করে ১২টি প্রকল্পেরও শিলান্যাস করে দেওয়া হল। 


    এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলার ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন। প্রতীকী হিসেবে কয়েকজন উপভোক্তার হাতে পরিষেবার চেক তুলে দেন। বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান প্রকল্পগুলির মধ্যে ছিল জমির পাট্টা, বাংলার বাড়ি, কৃষি পাট্টা, স্বাস্থ্যসাথী, কৃষকবন্ধু, সবুজ সাথী, জয় জোহার, খাদ্যসাথী, রূপশ্রী, বৃদ্ধ ভাতা ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। 


    এদিন সভায় চা শ্রমিক ও বনবস্তির বাসিন্দাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নজর এড়ায়নি এই বিশাল উপস্থিতি। তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাদারিহাট ব্লকের ঢেকলাপাড়া, মুজনাই ও লঙ্কাপাড়া চা বাগানে ৭৩৮টি চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘর তৈরি হয়েছে। এই খাতে খরচ হয়েছে ৩০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের নতুন ভবন তৈরিতে খরচ করা হয়েছে ২০ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। ফালাকাটার উন্নয়ন প্রসঙ্গেও অনেক কিছু বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে তাঁর ভাষণে জানান, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫০টি বেড করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে ফালাকাটায় স্টেডিয়াম তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আবাস যোজনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ইজ্জত সম্মান নিয়ে লড়াই করি। আমরা ভিক্ষা করব না। কেন্দ্র সরকার দেবে না। আমরাই আবাসের ঘরের টাকা দিচ্ছি। ১২ লক্ষ মানুষকে বাংলার বাড়ির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। আরও ১৬ লক্ষ মানুষকে আগামী ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। 


    এদিন ফের মুখ্যমন্ত্রী বন্ধ চা বাগান নিয়ে বলেন, পাঁচটি বাগান খুলেছে। আরও খুলবে। মঞ্চে জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার উদ্দেশ্যে বলেন, জয়গাঁয় উচ্ছেদ হচ্ছে। এ ধরনের কোনও উচ্ছেদ চলবে না। জয়গাঁয় পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। বাকি ১০ শতাংশ কাজও দ্রুত শেষ হবে। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠান থেকে ফের আরও একবার চা বাগানের ঘর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, চা সুন্দরী প্রকল্পে যা ঘর হওয়ার হয়েছে। এখন  চা বাগানে জমির পাট্টার সঙ্গে ঘর তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকাও দেওয়া হচ্ছে।  


    মুখ্যমন্ত্রী সরকারি মঞ্চ থেকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। মহকুমা হাসপাতাল তৈরির প্রক্রিয়া যে রাজ্য শুরু করেছে সেই খবর স্থানীয় বিধায়ক নির্মল রায়কে দেওয়ার জন্য ধূপগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
  • Link to this news (বর্তমান)