• অঙ্গনওয়াড়িগুলিতে গ্যাসে রান্নার নির্দেশ,  সিলিন্ডার না থাকায় ভরসা কাঠ-কয়লাই
    বর্তমান | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: রাজ্যের সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্যাসে খাবার রান্না করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই ব্যাপারে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। সেইমতো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে ওভেন ও লাইটার। কিন্তু, এলপিজি সিলিন্ডার না পৌঁছনোয় গ্যাসে রান্না এখনও চালু করা যায়নি। এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ চাইছেন কর্মীরা। কেন্দ্র পিছু ওভেন-সিলিন্ডার এবং অন্যান্য পরিকাঠামোর জন্য ৮,৯৫১ টাকা ধার্য করা হয়েছে। সিলিন্ডার রিফিল করার জন্য প্রত্যেক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র প্রতিমাসে ১,৩০৮ টাকা খরচ করতে পারবে।


    অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে আগে রান্না করা হতো কাঠ, কয়লা অথবা অন্য কোনও অস্বাস্থ্যকর জ্বালানি দিয়ে। কিন্তু তাতে সময় নষ্ট হতো অনেকটাই এবং নিয়মিত সৃষ্টি হতো ধোঁয়ার দূষণ। ব্যাপারটা রাঁধুনিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণও ছিল। গ্যাসে রান্নার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে। 


    তবে এক্ষেত্রে শর্ত হল, কেবলমাত্র ৭৫ জনের বেশি উপভোক্তা রয়েছে এমন আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিই গ্যাস সিলিন্ডার পাবে। উত্তর ২৪ পরগনায় আইসিডিএস কেন্দ্রের সংখ্যা ১০,৩৬৮। তার মধ্যে ২,৭৬১টিতে ওভেন ও লাইটার পৌঁছে গিয়েছে। সিলিন্ডার কেনার টাকাও সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এলপিজি রিফিল করার টাকা এখনও দেওয়া হয়নি। এই জেলার দুটি ব্লকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় সিলিন্ডার দিতে হবে—বাদুড়িয়ায় ২৯৪ এবং বারাসত-২ ব্লকে ২৬৫। এই বিষয়ে জেলা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি সেন্টার ওভেনের সঙ্গে দুটি করে গ্যাসভর্তি সিল্ডিার এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পাবে। অনেকের বক্তব্য, বহু আইসিডিএস কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর নেই। সেগুলি অন্যের বাড়িতে, এমনকী গাছতলায়ও চলে। গ্যাসে রান্নার নিয়ম সেক্ষেত্রে কীভাবে কার্যকর হবে, সেটা দপ্তর কর্তাদের এখনই ভেবে দেখা দরকার। 
  • Link to this news (বর্তমান)