• এবার বিল্ডিং   হেলে পড়ার   ছবি হাওড়াতেও
    বর্তমান | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: কলকাতা ও বিধাননগরের পর এবার হেলে থাকা বিল্ডিং দেখা গেল হাওড়াতেও। দক্ষিণ হাওড়ার শরৎ চ্যাটার্জি রোডে পাশাপাশি থাকা দু’টি পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের উপরের অংশ একে অপরের গায়ে হেলে থাকতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন ওই দুই বিল্ডিংয়ের বাসিন্দারা। যদিও নির্মাণে কোনও ত্রুটি নেই বলে জানিয়েছেন দু’টি বিল্ডিংয়ের প্রোমোটার। তবে ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠিয়ে দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাওড়া পুরসভা।চ্যাটার্জি হাট থানার শরৎ চ্যাটার্জি রোডের পাশে একটি সরু গলির ভিতরে পাশাপাশি রয়েছে পাঁচতলা আবাসন দু’টি। ২০১৯ সাল নাগাদ এই দুটি বিল্ডিং তৈরি হয়। মোট ১৬টি পরিবার রয়েছে সেখানে। দেখা গিয়েছে, একটি বিল্ডিংয়ের উপরের অংশের কার্নিশ লেগে রয়েছে পাশের বিল্ডিংটির সঙ্গে। খালি চোখে দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়, রীতিমতো হেলে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে প্রায় জুড়ে গিয়েছে এই দুটি বিল্ডিং। বহুতল দু’টি এভাবে পাশাপাশি ঠেকে যাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দারা। যদিও তাঁদের দাবি, তৈরির পর থেকেই বিল্ডিং দু’টি এই অবস্থায় রয়েছে। সেখানকার এক বাসিন্দা অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, কেন এমনটা হয়েছে জানি না। তবে চারিদিকে যা দেখছি, তাতে ভয় হচ্ছে। যে কোনও সময় আমাদের আবাসনেও বড়সড়ো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রোমোটারকে জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি। বিল্ডিং দুটোর অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে বিল্ডিংয়ের প্রোমোটার তারাচাঁদ বাজাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর যুক্তি, ফ্ল্যাট নির্মাণে কোনও ত্রুটি নেই। ওপরের দিকে কার্নিশ খানিকটা বেশি জায়গা নিয়ে তৈরি হওয়ার ফলে দূর থেকে দেখে এমনটা মনে হচ্ছে। হেলে থাকার প্রশ্নই নেই। যদিও প্রোমোটারের এই দাবি মানতে নারাজ ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুরসভা বাধা দেওয়া সত্ত্বেও নিয়ম না মেনে এই বিল্ডিং দুটো তৈরি করা হয়েছিল। সে সময়ই প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু নির্মাণ আটকানো যায়নি। এই এলাকায় এমন অবৈধ নির্মাণ আরও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। বিল্ডিং দপ্তরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের সেখানে পাঠানো হবে। তাঁরা বিল্ডিং দুটোর অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)