• চিনের পাক চয় চাষে লক্ষ্মীলাভ ভাস্করের
    এই সময় | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • কৌশিক দে, মালদা

    নাম পাক চয়। আদতে চিনা–পালং। আমাদের পালং শাকের তুলনায় পাতা অনেকটা বড়। স্বাদ প্রায়ই একই। জৈব পদ্ধতিতে এই পালং শাক (পাক চয়) চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন পুরাতন মালদার আদিনা এলাকার এক যুবক। কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পরে চাকরির পিছনে না ছুটে রীতিমতো বাপ–ঠাকুরদার পাঁচ বিঘা জমিতে দু’বছর আগে পাক চয় চাষ শুরু করেন ভাস্কর রাজবংশী।

    বাজারে নিয়ে যাওয়ার আগে ওই শাক কিনতে তাঁর জমিতে ভিড় করছেন পাইকাররা। জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের উপ-অধিকর্তা সামন্ত লায়েক বলেন, ‘মূলত চিনের পালং শাক পাক চয় জৈব পদ্ধতিতে চাষ করলে খুব ভালো স্বাদ হয়। এক বিঘা জমিতে দু’দফায় ৫০ কিলো করে ১ কুইন্টাল উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাদে ও গুণে অত্যন্ত ভালো। শীতের মরশুমে এই চাষ হয়ে থাকে। অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভ।’

    রেস্টুরেন্টে পাক চয়–এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পিৎজ়া, বার্গারের মতো খাবারের ব্যবহার করা হয়। পুরাতন মালদা শহরে একাধিক রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়েছে। সেখানে বিদেশি খাবারের চাহিদা সবথেকে বেশি। বাজারে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পাক চয়। বহু সাধারণ মানুষও বাড়িতে রান্না করে খাচ্ছেন এই শাক। শুধু ভাস্কর নয়, বাজার ধরতে পুরাতন মালদার কয়েক জন কৃষক এই চাষ শুরু করেছেন।

    অক্টোবর–নভেম্বরে বীজ বপন করার এক মাসের মধ্যে খাওয়ার জন্য তৈরি হয় এই চিনা পালং। ভাস্কর বলেন, ‘কলেজের পড়া শেষ করে আর চাকরির পিছনে ছুটিনি। প্রথম থেকেই নিজে কিছু করব বলে পরিকল্পনা ছিল। বিভিন্ন ভাবে অনলাইনে সার্চ করে পাক চয়–এর সন্ধান পাই। কলকাতার এক সব্জি বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে বীজ সংরক্ষণ করেছিলাম। গত দু’বছর ধরে শীতের মরশুমে এই চাষ করে ভালো লাভ হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে এই শাক চাষ করতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। তিন–চার গুণ বেশি লাভ করা সম্ভব।’ আমাকে দেখে ইতিমধ্যে গ্রামের অনেক কৃষক এই চাষ শুরু করেছেন।’

  • Link to this news (এই সময়)