এই সময়, মালদা: সমন্বয় বৈঠকেও জট কাটল না। বৃহস্পতিবার বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বয় বৈঠকে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার সুকদেবপুর সীমান্তে ১০০ মিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ কবে শুরু হবে, তা নিয়ে আলোচনায় হলো না। অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাকারবার ঠেকানো–সহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে এ দিন দুই দেশের সীমান্ত বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক যে প্রেস রিলিজ দিয়েছেন, তাতে সুকদেবপুরে কাঁটাতার বেড়া দেওয়ার কাজ কত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে সে ব্যাপারে কোনও কিছু উল্লেখ করা হয়নি। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক এনকে পান্ডে জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকদেবপুর এলাকার তৃণমূল সদস্য বিনয় মণ্ডল বলেন, ‘দুই দেশের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়মূলক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ নিয়ে যে গোলমালের সূত্রপাত সে ব্যাপারে কোনও রকম প্রসঙ্গই তোলা হয়নি। ফলে আমরা আগের মতোই আতঙ্কে রয়েছি।’
এ বছর ১৮ জানুয়ারি সুকদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত হন ১১৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের দুই বিএসএফ জওয়ান। তারপর এই প্রথম বাংলাদেশের সোনা মসজিদ এলাকায় বিএসএফের মালদা সেক্টরের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল এবং বিজিবির রাজশাহী সেক্টরের সেক্টর কমান্ডেন্ট–এর উপস্থিতিতে বৈঠক হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে বিএসএফ–এর নেতৃত্ব দেন বিএসএফের মালদার ডিআইজি তরুণকুমার গৌতম এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজিবির রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহম্মদ ইমরান ইবনে রউফ। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে কৃষক ছাড়া অন্যদের চলাচল রোধে আলোচনা করা হয়।
সুকদেবপুর গ্রামের কৃষক তরুণ ঘোষ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বৈঠকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ কবে শুরু হবে সেই সম্পর্কে কোনও রকম আলোচনার কথা আমরা জানতে পারিনি। ফলে এখনও এই গ্রামের কৃষকেরা আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন। কারণ, মাঝেমধ্যেই ওপারের বাংলাদেশিরা ফসল লুট করছে। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হলে ওপারের দুষ্কৃতীরা এই সুযোগ পেত না।’