নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘তুমি কোনও লাটের বাট নও। অন্য আর পাঁচটার বন্দির মতো তোমাকেও একই জেলের খাবারই খেতে হবে। অতিরিক্ত পছন্দের কোনও খাবার তৈরি করে দেওয়া সম্ভব নয়।’ বুধবার থেকেই খাবার নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে আর জি কর কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়। বৃহস্পতিবারও সে দুপুরের খাবার নিয়ে নানা ওজরআপত্তি শুরু করে। তাতেই বেজায় চটেছে জেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এরপরই জেলের কয়েকজন কর্মী তাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, যদি কোনও মুখরোচক খাবার খেতে হয়, তাহলে কুপন কেটে জেলের ক্যান্টিন থেকে সেটা কিনতে হবে। এই কথা শোনার পরই সে গজরাতে গজরাতে ডাল‑ভাত‑সব্জি একসঙ্গে মেখে কিছুটা মুখে তোলে। বাকিটা ফেলে রেখে রাগ দেখিয়ে নিজের সেলে চলে যায়। বিকেলে জেলের তরফে দেওয়া চা‑বিস্কুট খেয়ে সেলের মধ্যেই পাচারি করতে থাকে। বিকেলে ক্যান্টিনে গিয়ে ঢুঁ মারে। সেখানে তখন রয়েছে পাঁপড় ভাজা, সিঙারা, বেগুনি আর আলুর বড়া। আমিষ কিছু না থাকায় তা রোচেনি সঞ্জয়ের। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর জেল হেফাজত হওয়ার পরই খাবার নিয়ে মাঝে মধ্যেই বায়না জুড়ে দিত সঞ্জয়। একবার তো জেল কর্তৃপক্ষের কাছে এগ চাউমিন চেয়ে বসে। জেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেওয়া সম্ভব নয়। সে নিয়েও একপ্রস্থ শোরগোল হয়েছিল জেলের অন্দরে। আর সাজা ঘোষণার পর সেই বায়না আরও বাড়তে থাকে। এখনও সেই বায়না একপ্রকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার বাধ্য হয়েই জেল কর্তৃপক্ষ খাবার নিয়ে তাদের কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়ে দেয়। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত খাবার নিয়ে এই আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত বন্দি তার মনোভাব কোনওভাবে বদলায় কি না!